ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত-২৫, আহত-২৬

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জাপোরিঝিয়ার প্রান্তে এক বেসামরিক গাড়িবহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি বলেন, “শত্রুরা আমাদের অটলতা এবং তাদের ব্যর্থতার প্রতিশোধ নিতে চাইছে। পুতিন নিষ্ঠুরভাবে শান্তিপূর্ণ ইউক্রেনীয়দের ধ্বংস করে চলেছেন। কারণ, তিনি অনেক আগেই সবকিছু হারিয়েছেন।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানান, শহরটির ওরেখোভো গাড়ি বাজারের মাটিতে বা গাড়ির ভেতরে মৃতদেহগুলো পড়ে আছে। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বাজারে গাড়ির দুটি লাইনের কাছে একটি গর্ত তৈরি হয়েছে।
জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের ইউক্রেনীয় গভর্নর ওলেকজান্দার স্তারুখ এক টেলিগ্রাম বার্তায় লিখেছেন, “এ পর্যন্ত ২৫ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হয়েছেন। সবাই বেসামরিক।”
ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে চারদিকে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে, শার্পনেলের আঘাতে গাড়িগুলো ঝাঁঝরা হয়ে যায়। বহরের অধিকাংশ গাড়ি ও তিনটি মাইক্রোবাসের জানালা উড়ে যায়। পুলিশ ও জরুরি বিভাগের কর্মীরা হতাহতদের সরিয়ে নিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, গাড়িগুলো আরোহীদের জিনিসপত্র, কম্বল ও সুটকেসে ভরা ছিল। হলুদ রঙের একটি গাড়ির চালকের আসনে বসা এক ব্যক্তির মৃতদেহ কাত হয়ে যাত্রীর আসনে পড়ে আছে, তার বাম হাত তখনও গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল ধরে আছে।
সামনে সবুজ রঙের আরেকটি গাড়িতে এক নারী ও এক তরুণের মৃতদেহ প্লাস্টিকে শিট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পেছনের আসনে মৃতে তরুণের লাশের পাশে একটি মৃত বিড়াল পড়ে আছে।
এই গাড়ির সামনে একটি সাদা মাইক্রোবাসে আরও দুটি মৃতদেহ পড়ে ছিল, এর জানালাগুলো উড়ে গেছে আর একপাশ ক্ষেপণাস্ত্রের শার্পনেলে ক্ষতবিক্ষত হয়ে আছে।
নিজেকে নাতালিয়া বলে পরিচয় দেয়া এক নারী জানান, তিনি ও তার স্বামী জাপোরিঝিয়ায় তাদের শিশুদের দেখতে এসেছিলেন।
স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে নাতালিয়া বলেন, “আমরা মায়ের কাছে ফিরে যাচ্ছিলাম। তার বয়স ৯০ বছর। আমরা বেঁচে গেছি। এটা অলৌকিক।”
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করা রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার কথা অস্বীকার করেছে। যদিও তাদের আক্রমণে ইউক্রেনের শহর ও নগরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.