ইউক্রেনে রাশিয়ার আরও বড় হামলার আশঙ্কা বাড়ছে

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একাধিক সূত্রের খবর অনুযায়ী রাশিয়া ইউক্রেনের উপর আরও বড় হামলার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। চলতি মাসেই আরও সেনা ও সরঞ্জাম নিয়ে নতুন অভিযান শুরু হতে পারে। আরও দ্রুত অস্ত্রের অনুরোধ নিয়ে জেলেনস্কি ব্রাসেলস যেতে পারেন।
ইউক্রেনের আশঙ্কা সত্য প্রমাণ করতে রাশিয়া পূর্বের অধিকৃত এলাকায় আরও সেনা ও সরঞ্জাম জমা করছে বলে নানা সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি হামলার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রুশ সেনাবাহিনী আরও বড় আকারের হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কা বাড়ছে। লুহানস্ক অঞ্চলের ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকার গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেন, রাশিয়া থেকে রিজার্ভ বাহিনীর আরও সদস্য এবং সরঞ্জাম আসছে।
নতুন ধরনের গোলাবারুদও আসতে দেখা যাচ্ছে। দিনরাত গোলাবারুদ নিক্ষেপ বন্ধ করে রুশ বাহিনী কোনো বড় অভিযানের জন্য সেগুলি প্রস্তুত রাখছে বলে হাইদাই মনে করছেন। তার মতে, ১৫ই ফেব্রুয়ারির পর যে কোনো সময়ে রাশিয়া আরও জোরালো হামলা শুরু করতে পারে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভও গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে রাশিয়ার নতুন সামরিক অভিযানের আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও বসন্তকালে রাশিয়া অধিকৃত আরও এলাকা ছিনিয়ে নেবার পরিকল্পনা করছে, এমন ধারণা জোরালো হচ্ছে।  কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ব্যাটেল ট্যাংকসহ আরও অস্ত্র, সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ ঠিক সময়ে হাতে না পেলে এমন অভিযান কতটা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে সংশয় দেখা যাচ্ছে।  উল্লেখ্য, ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ইউক্রেন এলাকা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে যে সাফল্য পেয়েছিল, তা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে থমকে গেছে৷
যুদ্ধক্ষেত্রে আরও সাফল্যের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের রদবদলের উদ্যোগ নিচ্ছেন।  তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদেও নতুন মুখ দেখা যাবে কিনা, সে বিষয়ে বিভ্রান্তি কাটছে না।
সোমবার রাতের ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, তিনি স্থানীয় ও ফেডারেল সরকারে সামরিক ও ম্যানেজমেন্টের অভিজ্ঞতার মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে চান।  সেইসঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক ও বেসামরিক সহায়তার অপব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে চান। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভকে সরানোর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেন নি।  রোববার তারই জোটের এক শীর্ষ নেতা সেই দাবি করেছিলেন।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চলতি সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে সশরীরে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনাকল্পনা চলছে।  ইইউ জানিয়েছে, জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।  তিনি সত্যি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ব্রাসেলস গেলে সেটা হবে যুদ্ধ শুরু হবার পর দেশের বাইরে তার দ্বিতীয় জানা সফর। প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে সে বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয় নি।
গত বছর ওয়াশিংটনে গিয়ে জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করেন এবং মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিয়ে আরও অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। ইউরোপের কাছ থেকেও তেমন সাড়া পেলে তিনি ঝুঁকি নিয়ে ব্রাসেলস যেতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। (সূত্র: ডয়চে ভেলে)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.