আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: ভারতের আসাম রাজ্যের গভর্নর জগদীশ মুখী ও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠকে তাঁরা আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান চতুর্মুখী যোগাযোগ উন্নয়নে বাস্তব পদক্ষেপ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।
ত্রিপুরা ও আসাম সফররত ড. হাছান মাহমুদ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ও পরে গভর্নরের রাজ ভবনে তাদের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাতে মিলিত হন।
আসামের ২৮তম গভর্নর অধ্যাপক জগদীশ মুখী ও ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের সঙ্গে আসামের ঘনিষ্ঠতম সম্পর্কের লক্ষ্যে পারস্পরিক যাতায়াত, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান শিল্পায়ন ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সবুজ বনায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন। নৌপথে বাণিজ্য সুগম করতে নাব্যসহ চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পর্যটন প্রসারে ঢাকা-গুয়াহাটি সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় চালু করা এবং গুয়াহাটি থেকে আগরতলা হয়ে কক্সবাজার বিমান চলাচল শুরুর বিষয় নিয়ে আলোচনায় হয়।
বাংলাদেশ ও আসামের জনযোগাযোগ বাড়াতে আসামের ঐতিহ্যবাহী বিশাল রেলপথ নেটওয়ার্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ সাধন ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। স্থলবন্দরগুলোকে আরও কার্যকর করতে অবকাঠামো সংস্কার এবং পণ্য আমদানি-রপ্তানি বিধি যুগোপযোগী করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তারা।
এ সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে আসাম রাজ্য সরকার বিশেষ সংর্ধনার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।
গভর্নর ও মুখ্যমন্ত্রী দুজনেই বৈঠক শেষে টুইট করেছেন। গভর্নর তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে সবুজ বনায়ন ও পরিবেশ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এ সাক্ষাতকে আনন্দের বর্ণনা করে টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আসামের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত সম্পর্ককে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে গভীরতর করার প্রয়োজন রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের জলপথকে সুগম করার চাবিকাঠি। এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ।’
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও সাইমুম সরওয়ার কমল, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, দিল্লিতে নিযুক্ত উপ-হাইকমিশনার নূরাল ইসলাম এবং গুয়াহাটিতে সহকারি হাইকমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম সফররত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এর আগে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি আগরতলা ও গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ও আসামের ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও জামদানি বিতান উদ্বোধন করেছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.