আফগানিস্তানের কাছে ঘরের মাঠে হারলো শ্রীলঙ্কা

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল দিলো শ্রীলঙ্কা। দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার চারিথ আসালাঙ্কা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা না দাঁড়ালে অবস্থা আরও শোচনীয় হতো। তাদের ২৬৮ রানে অলআউট করে জিততে বেশি কষ্ট হয়নি আফগানিস্তানের। যদিও আফসোস করতে হয়েছে ইব্রাহিম জাদরানকে। চতুর্থ সেঞ্চুরিটা হয়নি মাত্র ২ রানের জন্য।
হাম্বানটোটায় বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা বেশ ভালো হলো আফগানিস্তানের। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে তারা হারিয়ে দিয়েছে ৬ উইকেটে। অন্যদিকে বিশ্বকাপ খেলতে বাছাই পরীক্ষার আগে বড় ধাক্কা খেলো শ্রীলঙ্কা। ১৯ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো আফগানরা, পরের ম্যাচ রবিবার।
২০তম ওভারে ৮৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম চার ব্যাটারের মধ্যে পাথুম নিসাঙ্কা একাই করেন ৩৮ রান। দুই বছরেরও বেশি সময় পর ফিরে ওপেনিংয়ে নেমে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি দিমুথ করুণারত্নে। কুশল মেন্ডিস (১১) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজও (১২) হতাশ করেন।
শেষ পর্যন্ত চারিথ ও ধনঞ্জয়া পঞ্চম উইকেট জুটিতে হাল ধরেন। দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে দলকে লড়াকু সংগ্রহের আভাস দেন তারা। এই জুটি ৯৯ রান তোলে। ৫৯ বলে ৫১ রান করে মোহাম্মদ নবীর শিকার ধনঞ্জয়া। চারিথ একপ্রান্ত আগলে রেখে ইনিংস শেষ করে আসার ইঙ্গিত দিলেও পারেননি। শেষ ওভারের প্রথম বলে ৯১ রানে রান আউট তিনি। ৯৫ বলের ইনিংসে ছিল ১২ চার।
একই ওভারে আরও দুই ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কাকে শেষ বলে অলআউট করে আফগানরা।
সফরকারীদের পক্ষে ফজলহক ফারুকি ও ফরিদ আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্যে নেমে ষষ্ঠ ওভারে ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ (১৪) লাহিরু কুমারার শিকার। ২৫ রানে আফগানিস্তানের প্রথম উইকেট পেলেও শ্রীলঙ্কার আনন্দ বেশিক্ষণ থাকেনি। তাদের ক্লান্ত করে ছাড়েন ইব্রাহিম ও রহমত শাহ।
১৪৬ রানের এই জুটি ভেঙে যায় ইব্রাহিমকে ব্যথিত করে। ৯৮ বলে ৯৮ রান করে কাসুন রাজিথার বলে বদলি ফিল্ডার সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ক্যাচ দেন তিনি। এই ওপেনারের বাউন্ডারি ছিল ১১টি, ছয় দুটি।
স্কোরবোর্ডে ১৭১ রান ওঠার পর ইব্রাহিম ফিরে গেলে আর পেছনে ফিরতে হয়নি আফগানদের। রহমত ৫৫ রান করে থামেন, অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদী করেন ৩৮ রান।
৪ উইকেট হারানোর পর নবী ও নাজিবউল্লাহ জাদরান যথাক্রমে ২৭ ও ৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান। ৪৬.৫ ওভারে ৪ উইকেটে আফগানিস্তান করে ২৬৯ রান।
এই দিনে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় মাথিশা পাথিরানা ও দুশান হেমন্তের। স্মরণীয় দিনটা মনে রাখার মতো কিছু করতে পারেননি তারা। পাথিরানা এক উইকেট নেন, হেমন্তের হাত ছিল খালি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.