আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী ও ননদ মিলে বৃষ্টি বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার সহয়তায় পুলিশ স্বামী রমজান আলীকে গ্রেপ্তার করলেও পালিয়ে গেছে ননদ স্বপ্না বেগম। আজ শনিবার সকালে চাবাগান এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বশিপুরের সাদ্দাম আলী বাদি হয়ে স্বামী রমজান আলী ও ননদ স্বপ্না বেগমকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সান্তাহার চাবাগান এলাকায় রমজান আলী তার স্ত্রী বৃষ্টি বেগম ও বোন স্বপনা বেগমকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো। বিয়ের পর পারিবারিক কলহ চলে রমজান আলীর সাথে তার স্ত্রীর বৃষ্টির মধ্যে। এর জের ধরে আজ শনিবার সকালে ফের কলহের সৃষ্টি হলে স্বামী রমজান আলী ও ননদ স্বপ্না বেগম কৌশলে ভাড়া বাসায় বৃষ্টিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর স্ত্রী বৃষ্টি আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেয়ার উদ্যোশে একটি ক্লিনিকে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোশনা করেন। সেখান থেকে স্বামী ও ননদ পালানোর চেষ্টা কালে স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় পুলিশ স্বামী রমজান আলীকে গ্রেপ্তার করলেও কৌশলে ননদ স্বপ্না পালিয়ে যায়।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৃষ্টি বেগমকে স্বাশরোধে হত্যা করা হতে পারে। ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়া গেলে প্রকৃত হত্যা রহস্য জানা যাবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.