আদমদীঘিতে সার আত্মসাত মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা জেল হাজতে


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে সাড়ে ১১ কোটি টাকার সার কালোবাজারে বিক্রি সংক্রান্ত মামলায় উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রাশেদুল ইসলাম রাজা আদমদীঘি উপজেলার সান্দিড়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার তার আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১৬ সালে শুরুতে বিদেশ থেকে আমদানী করা সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার বাফার গুদামে সরবরাহ করার জন্য একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মশিউর রহমান ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে মাত্র ৪ হাজার ৬১০ মেট্রিক টন সার সান্তাহার বাফার গুদামে সরবরাহ অর্থাৎ মজুদ করেন।

অবশিষ্ট ৩ হাজার ৮৮৯ দশমিক ৫৫ মেট্রিক টন স্যার গুদামে মজুদ না করেই কালোবাজারে বিক্রি করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর গুদামের তৎকালিন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর উদ্দিন খান, পরিবহন ঠিকাদার মশিউর রহমান ও রাশেদুল ইসলাম রাজার বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর আগে আদালতে মামলাটি চার্জশিট দাখিল করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার রাশেদুল ইসলাম রাজা বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, রাশেদুল ইসলাম রাজা বগুড়া জেলার আদমদীঘির সান্তাহার বাফার গুদামের হ্যান্ডেলিং এজেন্ট ছিলেন।

তিনি আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক। এই মামলায় অভিযুক্ত অপর দুই জনের মধ্যে গুদামের তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর উদ্দীন বর্তমানে পলাতক এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা মশিউর রহমান জামিনে রয়েছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো: হাফিজার রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.