আত্মসমর্পণ করলেন ৩০ জন গডফাদার ও ৭২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী

চট্টগ্রাম ব্যুরোআজ শনিবার সকালে দোষ স্বীকার করে কক্সবাজারের টেকনাফের ১০২ জন ইয়াবা গডফাদার ও ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছেন। এর মধ্যে ৩০ জন গডফাদার ও ৭২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছেন। পুলিশের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেন তারা।

৩০ ইয়াবা গডফাদাররা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির চার ভাই আবদুর শুক্কুর, আবদুল আমিন, শফিকুল ইসলাম শফিক, ফয়সাল রহমান, বদির ভাগনে সেহেদ রহমান নিপু, বদির ভাগনে পৌর কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ, বদির বেয়াই সাহেদ কামাল, বদির ফুপাতো ভাইয়ের ছেলে কামরুল হাসান রাশেল।

হ্নীলার নুরুর হুদা মেম্বার, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের ছেলে দিদার মিয়া, ডেইল পাড়ার দুই সহোদর আবদুল আমিন ও নুরুল আমিন, এনামূল হক এনাম মেম্বার, একরাম মেম্বার, সৈয়দ হোসেন মেম্বার, সাবারংয়ের মৌলভি বশির আহম্মদ, পল্লানপাড়ার শাহ আলম, জালিয়াপাড়ার মোজাম্মেল হক ও জুবায়ের হোসেন, নজিরপাড়ার আবদুর রহমান, ইয়াবা ডন সাইফুর করিমের দুই শ্যালক গুদারবিলের জিয়াউর রহমান ও আবদুর রহমান।

হ্নীলা বাজার পাড়ার মোহাম্মদ শাহ, পশ্চিম লেদার নুরুল কবির, পৌর এলাকার মারুফ বিন খলিল বাবু, মোহাম্মদ ইউনুস, হ্নীলার সৈয়দ হোসেন সৈয়দু, জামাল মেম্বার, শাহাপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম রেজু মেম্বার ও হাসান আবদুল্লাহ।

এর আগে পৌনে ১১টায় আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ আইনৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জেলার তিন সংসদ সদস্যও ছিলেন সেখানে।

এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জেলা বিশেষ শাখা, কক্সবাজারের তালিকাভুক্ত ৬৭ জন মাদক ব্যবসায়ী জেলা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।#

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.