আজ বিধানসভায় বাজেট প্রস্তাব পেশ হয়

কলকাতা প্রতিনিধি: আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) পশ্চিমবাংলাব বিধানসভায় ২০২০-২১ এর বাজেট অধিবেশন ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হওয়ার পর আজ দুপুর দু্ইটায় বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বাজেট প্রস্তাব পেশ করলেন ৷ আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা, তরিতে পারি শকতি যেন রয়।’ রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বন্ঞ্চনার প্রসঙ্গে এই উক্তি ৷ একদিকে কেন্দ্রের বঞ্চনা, অন্যদিকে নাগরিকত্ব ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধ ।
 
গত আট বছরে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হয়েছে ১২টি থেকে বেড়ে মোট ৪২টি। গত আট বছরে ১২টি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হওয়ায় মোট সংখ্যা হয়েছে ৪২টি। আগামী অর্থবর্ষে এ জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’
আগামী অর্থবর্ষে এ জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’ গত আট বছরে ১২টি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হওয়ায় মোট সংখ্যা হয়েছে ৪২টি। আগামী দু’বছরে রাজ্যে আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। আগামী অর্থবর্ষে এ জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’
কৃষি আয়কর সম্পূর্ণ ছাড়ের প্রস্তাব করা হচ্ছে।’
‘গ্লোবাল বিজনেস সামিটে পাঁচ বছরে বিশাল বিনিয়োগ এসেছে। বড় শিল্পের ক্ষেত্রে ৪.৪৫ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হয়েছে।’
সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য।’
‘বাংলায় বেকারির হার ৪০% কমেছে।’ 
‘চা বাগানগুলিতে আয়কর সম্পূর্ণ মকুব করা হচ্ছে।’ 
ভারতে শিল্পে বৃদ্ধির হার ২০১৯-২০ সালে বাংলায় শিল্পোৎপাদনে বৃদ্ধির হারের ৩.৮ শতাংশ। গোটা দেশের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।  মোদী সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া কি তবে বিফল হল ৷

‘গৃহনির্মাণে, ক্ষুদ্রশিল্প, গ্রামীণ রাস্তা, স্কিল ডেভলপমেন্ট, মাইনরিটি স্কলারশিপে বাংলা প্রথম।’

 
রাজ্যের জিডিপির হার ১০.৪%, দেশের দ্বিগুণ আর্থির বৃদ্ধির হার বাংলায়: অমিত।
বাংলা এখন সারা দেশের মডেল, গুড গভর্নেন্সের মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে বাংলা।’
গত আর্থিক বছরে রাজ্যে ৯ লাখ ১১০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। নতুন কর্মসংস্থানের জন্য ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ আগামী বর্ষে।
সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রশিক্ষণের জন্য তিনটি সেন্টার গড়বে রাজ্য। কলকাতা, শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুরে হবে অ্যাকাডেমি।’
বিপিএল তালিকাভুক্ত যাঁদের ত্রৈমাসিক বিদ্যুতের খরচ ৭৫ ইউনিটের কম, তাঁদের বিদ্যুত্‍‌ চার্জ সম্পূর্ণ মকুব। ১৩ লক্ষ মানুষ এর উপকার পাবেন। এর নাম হাসির আলো প্রকল্প।’
কর্মসাথী প্রকল্পের প্রস্তাব করা হচ্ছে । এই প্রকল্পে প্রতিবছর ১ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। এর জন্য ২লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। আগামী অর্থবর্ষে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।’
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ৪৯টি ক্লাস্টার বেড়ে হয়েছে ৫৪৫। আগামী তিন বছরে আরও ১০০টি ক্লাস্টার গড়ে তোলা হবে। আগামী অর্থবর্ষে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা।’
ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য বাংলাশ্রী প্রকল্পের প্রস্তাব। ২০১৯-এর ১ এপ্রিল থেকে যে সংস্থা কাজ শুরু করেছে তারাও এর সুবিধা পাবে। আগামী অর্থবর্ষে বরাদ্দ ১০০কোটি টাকা।’
‘চা কর্মীদের গৃহনির্মাণের জন্য বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা।’ 
বকেয়া মামলার নিষ্পত্তির জন্য একাধিক ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের প্রস্তাব। ৯০ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে।’
চা সুন্দরী প্রকল্পের প্রস্তাব। চা বাগানে কর্মরত গৃহহীনদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ‘
‘প্রবীণ তফশিলিদের সামাজিক সুরক্ষায় বিশেষ প্রকল্প। তাঁদের মাসে ১০০০ টাকা বার্ধক্য ভাতা। মোট ২১ লক্ষ মানুষ এর সুবিধা পাবেন। প্রকল্পের নাম বন্ধু। বরাদ্দ আড়াই হাজার কোটি টাকা। আদিবাসী ও তপশিলী উপজাতির সমস্ত প্রবীণকে মাসে ১ হাজার টাকা ভাতা। এ জন্য বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা।’

বাংলায় ২২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে।’ 

সূত্রের খবর, সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যেই এবারও চেষ্টা হবে উন্নয়ন হবে খাতে বরাদ্দ অনেকটা বাড়ানোর। সেই সঙ্গে চেষ্টা হবে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধির। যাতে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ টাকা পৌঁছয় ৷ যাতে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ টাকা পৌঁছয়। তাতে ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে বাজারে লেনদেন বাড়বে।
রাজ্যের সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতির সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হচ্ছে, গড় অভ্যন্তরীন উৎপাদনের হারে পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় গড়ের থেকে বেশি শুধু নয়, রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে।
বছর ঘুরতেই রাজ্য বিধানসভার ভোট। স্বভাবতই একুশ জয়ে সরকারের মোক্ষম অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে আজকের বাজেট। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের এক বছর আগের বাজেটে সেই দিশাই ছিল।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.