আজ নাটোরের গরীবের ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের জন্মদিন

নাসিম উদ্দীন নাসিম: (নাটোর থেকে): নাটোরের গরীবের ডাক্তার হিসেবে খ্যাত শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ডাঃ আবুল কালাম আজাদের জন্মদিন ।শুভ জন্মদিন ডাক্তার সাহেব শুভ হোক আপনার পথচলা।

যাদের কাজ, চিন্তা ও মূল্যবোধ মানুষের জীবনকে গভীরভাবে স্পর্শ করে যায়, তারা মানুষের জীবন ও চেতনায় থেকে যান সারাজীবন। তাদেরই একজন ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ ।

আজ তাঁর জন্মদিন। এই দিনেই তিনি এসেছিলেন তাঁর ও তাঁর পারিপার্শ্বিকতাকে আলোকিত করতে। আলোকিত করেছেন, করছেন এবং করবেন। ডাক্তাররা অমানবিক, কসাই- এমন আরো‌ কত অপ্রিয় কথা অহরহই শোনা যায়! কিন্তু সবাই কি খারাপ? নিশ্চয় নয়। দেশে ভালো ডাক্তারতো অবশ্যই আছে। যেমন, ডা. আবুল কালাম আজাদ ভাই।

যিনি ডাক্তার নামের মহানপেশাকে নিঃস্বার্থ ভাবে সেবাদানের মাধ্যমে নিয়ে গেছেন অন্যরকম উচ্চতায় । চিকিৎসা সেবাকে যে মানুষটি বাণিজ্যকরণ করেনি। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগ আমাদের ঘিরে ধরছে আষ্ঠেপৃষ্ঠে। চিকিৎসকের কাছে যেতে হলে রোগীকে গুণতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা ফি।

কখনও কখনও আরও বেশী।তাই অনেকেই টাকার অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে এ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম আবুল কালাম আজাদ । সাজানো গোছানো এসি রুম, রুমের বাইরে অনবরত চেঁচামেচি করতে থাকা এসিস্ট্যান্ট, অপেক্ষমাণরত রোগীদের তাগাদা, ফিটফাট মেডিকেল রিপ্রেসেন্টিটিভদের আনাগোণা, কেউ রিপোর্ট দেখাতে এসেছে, কেউ ২ মাসের পুরাতন রোগী তাই ২০০ টাকা ভিজিট কম, দেখানো শেষে পাঁচশ হাজার ভিজিট দিয়েও আক্ষেপ ডাক্তার সাহেব কথা শোনেননি গুরুত্ব দিয়ে। ডাক্তারের চেম্বার বলতে আমাদের চোখের সামনে এই চিরচেনা দৃশ্য ভেসে উঠে। এবং সেখানে রিকশাওয়ালা, গার্মেন্টস ফেরত কিশোরী, শ্রমিক মজুর কিংবা একে বারেই খেটে খাওয়া মানুষের যাওয়ার সুযোগ নেই, সামর্থ্য ও নেই।

কিন্তু ঠিক এর উল্টোটিই দেখা যায় নাটোরের গরীবের ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের চেম্বারে । তাঁর চেম্বারে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে আসছে নানা পেশার মানুষ ।

চেম্বারে আগত অধিকাংশ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ করেন তিনি ।গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে নাটোরের অসহায় দু:স্থ রোগীদের মাঝে আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। নিয়েছেন তাদের মনে সম্মানের পোক্ত আসন ।বিনামূল্যে শুধু চিকিৎসা সেবাই না, প্রয়োজনে ওষুধের ব্যবস্থা, সমাজসেবা বিভাগের সহায়তা পেতে সাহায্য করা, এমনকি অনেক গরীব রোগীকে স্বল্প মূল্যে অস্ত্রপ্রচারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।

নাটোর ষ্টেশন বাজারের বৃদ্ধ তমেজ আলী জানান,,বিনামূল্যে হাজারো মানুষকে চিকিৎসা সেবা এবংঔষধ বিতরণ করতে শুধু টাকাই লাগে না, লাগে একটি বড় মন। যা ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের রয়েছে।গরীব মানুষের ডাক্তার হলেন তিনি । তার কাছে গেলে যত্ন সহকারে তিনি দেখেন ও টাকা ছাড়া ঔষধ পাওয়া যায়।।

পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি এসব করছেন। সারা বছর বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানী থেকে ভিজিট হিসেবে যে সব ফ্রি ঔষধ স্যাম্পল পান, তা জমিয়ে এবং ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তিনি রোগীদের এই সেবা দিয়ে থাকেন। গত তিন দশকের প্রতিটি সালেই তিনি যে সেবা জেলাবাসীকে দিয়ে চলেছেন তা সব সময় শ্রেষ্ঠত্বের দাবী রাখে ।।আপন সাবলীল স্বভাবের কারণে অতি অল্পতেই প্রসার পান আপন কর্মদক্ষতার।

ধীরে ধীরে চিকিৎসার সুফলভোগীদের আপন প্রচারের কারণে, এলাকা ছাড়িয়েও আশে-পাশের এলাকাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে আন্তরিক সেবার কথা। রাত-দিন নেই,যেখানেই রোগীর স্বজনের ডাক, সেখানেই স্ব-শরীরে উপস্থিত হোন। কখনও খাওয়ার মাঝপথে, কখনও বা খাবার রেখেই ছুটেছেন রোগী দেখার উদ্দেশ্যে। এমনকি সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর গভীর রাতেও ঘুমিয়ে থাকার অজুহাতে কাউকে ফিরিয়ে দেননি।

ছোট শিশুদের বেশী চিকিৎসা বেশী করেন । আর টাকার জন্য সাধারণত কেউ বিনা চিকিৎসায় ফিরে যান নি। তাঁর এসকল সাবলীল আচরণের জন্য এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত ‘গরীবের ডাক্তার’ হিসেবে। এক সময় নাটোর আধুনিক হাসপাতালে যেমন তার চেম্বারে উপচে পরা ভীড় দেখতাম ।।,

সরকারী চকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর আজ নটোর শহররের পুরাতন জিন্নাহ স্কুল মেড়ে কালাম ভাইয়ের ব্যক্তিগত চেম্বারেই রোগীদের ভীড়।। নিদিষ্ট কোন ফ্রি নেই।। যে যা ফ্রি হিসেবে দেন তাই রেখে দেন।।। কেউ না দিলেই আপত্তি নেই।। নাটোরের দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে কালাম ভাই বিপদের বন্ধু বলে পরিচিত।। নিরহংকার সদাহাস্যমুখ আমাদের কালাম ভাই জেলার গরীব,দুস্থ, মেহনতি মানুষের শেষ ভরসাস্থল।।

মানুষটি মনোযন্ত্রণার আপন তাগিদেই মানুষের সেবা করে যান।। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ।। নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে তিনি যেভাবে কাজ করে চলেছেন।। তাতে জেলা নয় ,পুরো দেশের মধ্যে শ্রেষ্ট চিকিৎসক হিসেবে ডাঃ আবুল কালাম আজাদ ভাই কে জাতীয় বা রাষ্টীয় ভাবে সম্মান জানাতো উচিত বলে আমি মনে করি ।।।। যা দেখে বর্তমান প্রজন্মের চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত ভাবে ।।

কালাম ভাই তাদের কাছে একজন আর্দশবান চিকিৎসকের আইকোন হিসেবে কাজ করবে ।। নাটোরবাসীর প্রাণপ্রিয় ডাক্তার কালাম ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন ।।

নাটোরের আমজনতার পক্ষ থেকে শুভকামনা নিরন্তর শুভকামনা। শুভ জন্মদিন কালাম ভাই। আজকের এই দিনের সব ফুল আপনার জন্য, সব আনন্দ-সব হাসি আপনার। আর আমাদের পক্ষ থেকে সব ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা-মেশানো শুভকামনা আপনার জন্য। সুস্থ থাকুন, দীর্ঘজীবী হোন আর আমাদের পাশে থাকুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.