আজ দুপুরে মহাকাশে উৎক্ষেপিত হল চন্দ্রযান-৩

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ দুপুরে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী হরিকোটা থেকে উৎক্ষেপিত হল ভারতে তৈরী চন্দ্রযান-৩। এ এক ভারত তথা বিশ্বের কাছে ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এ পর্যন্ত যা খবর, ৫ই আগস্ট চাঁদের কক্ষ পথে পৌঁছনোর কথা। ২৩শে আগস্ট চন্দ্রপৃস্ঠের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা।
মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের বুকে ভারতের অবতরণ। প্রচণ্ড ক্ষমতা, শক্তি, ধৈর্য ধরে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এই কর্মকাণ্ড সফল করার প্রচেস্টায় রয়েছেন। তার থেকে বোঝা যায় শুধু মহাকাশ নয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত আরও বলশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে আগামীদিনে।
গত ৩ বছর নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। সঙ্গে রয়েছে কয়েকটি সংস্থাও।
চন্দ্রযান-২ আর চন্দ্রযান-৩ এর মধ্যে পার্থক্য হল, প্রথমটিতে ছিল চাঁদকে প্রদক্ষণকারী একটি যন্ত্র।
এবার চন্দ্রযান-৩ প্রদক্ষণকারী আলাদা কোনও যন্ত্র থাকছে না। রকেট সিস্টেমের মাধ্যমে চাঁদের কাছে পৌঁছে তার থেকে অবতরণকারী যানটিকে (বিক্রম) চন্দ্রপৃস্ঠে ছেড়ে দেওয়া হবে। তারপর সে নিজেই বিক্রম থেকে বেড়িয়ে চন্দ্রপৃস্ঠে ঘুরবে এমনই হিসেব নিকেস বিজ্ঞানীদের।
গতবারে চন্দ্রযান-২ র সাফল্য আশানুরূপ আসেনি। এবার বিজ্ঞানীরা কিছু যন্ত্রাংশের পরিবর্তন করেছেন। এমনকী সেটি কিভাবে নামবে তার পদ্ধতির বিভিন্ন রকমের মহরা করে উৎক্ষেপন করা হয়েছে।
চন্দ্রযান-৩র আনুমানিক খরচ হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৭২১কোটি টাকা।
শ্রীহরিকোটা ছাড়াও বিজ্ঞানীরা এবার অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মহাসাগরের উপর অবস্থিত একটি জাহাজ থেকেও সমস্ত ঘটনাটির নিরিক্ষণ করবেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.