আখাউড়ায় জ্যান্ত গরুর ভূরি ও অন্ডকোষ খেয়ে ফেলেছে এক যুবক!

বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: মানুষ জীবন বা‍ঁচতে সাধারণত ভাত, ফলসহ নানা প্রকার খাদ্য সামগ্রী খেয়ে থাকেন। কিন্তু পশুর রক্ত, অন্ডকোশ, কলিজা ভূঁড়ি, নাভী খাওয়ার নজির পাওয়া খুবই দুষ্কর। এমনই এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকায়। প্রকাশ্য দিবালোকে তারেক (১৮) নামে এক কিশোর মাঠে ঘাস খাওয়া এক গরুর রক্ত, অন্ডকোশ, ভূঁড়ি, নাভী, কলিজা খেয়ে ফেলেছে। পা বেধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়খানার রাস্তা কেটে ওইসব বের করে সে খেয়ে ফেলে।
আজ সোমবার দুপুরে পৌর শহরের তারাগন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এদিকে এ খবর মহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শত শত লোক দেখতে ভীড় করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরকে স্থানীয় লোকজন আটক করেছে। আটক তারেক একই এলাকার মো.আমাল খাঁর ছেলে।
গরুর মালিক তারাগন পশ্চিম পাড়ার মো. আবু তাহের মিয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, গত কিছুদিন পূর্বে প্রায় ৫০ হাজার টাকায় এই গরুটি ক্রয় করেন তিনি। প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ি সংলগ্ন খোলা মাঠে ঘাস খেতে দেন তিনি। দুপুরে গরুটিকে দেখতে গেলে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। সেইসাথে গরুর নারী ভূঁড়ি, নাভীও পড়ে আছে। এ অবস্থায় সে আমাকে দেখতে পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ট করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ধাওয়া করে তাকে আটক করা হয়। সে গরুর ওইসব খেয়েছে বলে স্বীকার করেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় গরুটিকে পরে জবেহ করা হয়।
তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে এই গরুটি ক্রয় করেছিলাম। কিন্তু এ ঘটনায় আমার বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। আলম মিয়া বলে মানুষকে কত কিছু খাবার খেতে দেখেছি কিন্ত ওইসব খেতে দেখি নাই। গরু নিয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে জানায়। মুর্শেদ মিয়া বলেন, আগে মাঠে গরু দিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়িতে গিয়ে অন্যান্য কাজ করেছি। এখন দেখছি সব শেষ হয়ে গেছে। আমার জীবনে এ ধরনের ঘটনা দেখিনি।
আখাউড়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. কামাল বাশার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাটি শুনে দ্রুত খোঁজখবর নিতে লোক পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে মানসিক সমস্যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তাকে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে আরো বড় ধরনের সমস্যা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.