অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে ৪৩৪ রান!

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ঝরলো রানের বৃষ্টি। এক ম্যাচে হলো ৪৩৪ রান! টান টান উত্তেজনার ডানেডিনের ম্যাচটি ছড়িয়েছে রোমাঞ্চ। তবে শেষ হাসি হেসেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। আশা জাগিয়েও অস্ট্রেলিয়া হেরেছে ৪ রানে। তাতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে কিউইরা এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।
মার্টিন গাপটিলের ঝড়ো ৯৭ রানে ভর করে নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৯ রান করেও স্বস্তিতে থাকতে পারেনি। ম্যাচের শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জিততে হয়েছে কেন উইলিয়ামসনদের। শেষ ওভারে জিততে ১৫ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। টি-টোয়েন্টি যুগে যেটি মোটেও কঠিন সমীকরণ নয়। তবে জিমি নিশামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১০ রানের বেশি করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ২০ ওভারে সফরকারীরা থামে ৮ উইকেটে ২১৫ রানে।
একটুর জন্য সেঞ্চুরি পাননি ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা গাপটিল। ৫০ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৮ ছক্কায় এই ওপেনার আউট হন ৯৭ রানে। উইলিয়াসমন ৩৫ বলে করেন ৫৩ রান, যাতে ছিল ২ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কার মার। তবে কিউইদের রান ২০০ ছাড়ানোর পেছনে বড় অবদান নিশামের। বল হাতে দুর্দান্ত শেষ ওভারের আগে ব্যাট হাতে তিনি মাত্র ১৬ বলে খেলেছেন হার না মানা ৪৫ রানের ইনিংস। ১ চার ও ৬ ছক্কায় সাজান টর্নেডো ইনিংসটি। তাই পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে না পারলেও বড় স্কোর গড়তে অসুবিধা হয়নি স্বাগতিকদের।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার কেন রিচার্ডসন। এই পেসার ৪৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন ড্যানিয়েল স্যামস, জাই রিচার্ডসন ও অ্যাডাম জাম্পা।
২২০ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে মার্কাস স্টোইনিস ও স্যামসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয় দেখছিল অস্ট্রেলিয়া। সপ্তম উইকেটে তারা টি-টোয়েন্টির রেকর্ড ৯২ রানের জুটি গড়েন। স্টোইনিস ৩৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় করেন ৭৮ রান। আর স্যামস ১৫ বলে ২ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস। এরপরও নিশামের দারুণ শেষ ওভারে তারা ম্যাচ জেতাতে পারেননি। এর আগে জশ ফিলিপ করেন ৪৫ রান। ম্যাথু ওয়েডের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।
নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার মিচেল স্যান্টনার। এই স্পিনার ৩১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। শেষ ওভারে আলো ছড়ানো নিশাম ১০ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.