বিটিসিআন্তর্জাতিকডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার প্রতি সামরিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন। আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেসের ইউরোপ সফরের আগে ইউক্রেন এই আহ্বান জানায়।
ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় নেটোর বাইরে বৃহত্তম সহায়তাকারী হলো অস্ট্রেলিয়া। তারা ক্ষেপণাস্ত্র এবং বুশমাস্টার সাঁজোয়া কর্মী বাহক সরবরাহ করেছে। তাদের বিশেষ একটি ‘ভি’ আকৃতির মেঝে রয়েছে যা একটি সমতল ফ্লোরের চেয়ে বিস্ফোরণের প্রভাবকে আরও কার্যকরভাবে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনীর ৭০ জন সদস্যের একটি দলও ব্রিটেনে রাখা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনে ট্যাংক সরবরাহের জন্য জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি অস্ট্রেলিয়ার ওপর কিয়েভে সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
অস্ট্রেলিয়ায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিল মাইরোশনিচেনকো শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেন,তিনি আশা করেন, ক্যানবেরা তার দেশের সামরিক সহায়তা বাড়াবে।
ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরে রয়েছে ব্রিটেন, পোল্যান্ড, জার্মানি এবং কানাডা।
অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার ওপর ঢালাও নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে। এটি কোনো বিদেশী সরকারের ওপর অস্ট্রেলিয়ার আরোপিত সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।
প্রায় এক বছর আগে এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়া প্রায় ৯,০০০ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে ভিসা দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র এবং বাণিজ্য বিভাগ বলেছে, ক্যানবেরা “ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে রাশিয়ার একতরফা, অবৈধ এবং অনৈতিক আগ্রাসনের নিন্দা জানায়।” তারা আরও বলে,“এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।” (সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা)। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.