অবশেষে বর্ষা এনজিওর মালিক কামরুল ইসলামের থানায় আত্মসমর্পণ

নাটোর প্রতিনিধি: অবশেষে নাটোর থাানয় আত্মসমর্পণ করেছেন তথাকথিত এনজিও বর্ষা মাঝদিঘা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি উন্নয়ন সমবায় সমিতি ও হেলপ্ সোসাইটির মালিক কমারুল ইসলাম। গতকাল সোমবার রাতে তিনি নাটোর থানায় হাজির হয়ে পুলিশের কাছে ধরা দেন।

তার বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় এনজিওর নামে টাকা লোপাট করার অভিযোগে মামলা রয়েছে। জানা যায়, বর্ষা মাঝদিঘা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি উন্নয়ন সমবায় সমিতি এবং হেলপ্ সোসাইটি নামে দুটি এনজিও খুলেন মাঝদিঘা গ্রামের ওলি প্রামাণিকের ছেলে কামরুল ইসলাম।

এরপর নাটোর সদরের মাঝদিঘা গ্রামে প্রধান অফিস এবং রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার মোল্লাপাড়া ও ঝলমলিয়ায় শাখা খোলেন তিনি। এসব শাখায় নিয়োগ দেয়া হয় বেশ কিছু মাঠ কর্মী। ঋন প্রদানের জন্য নেওয়া হয় সঞ্চয়। এজন্য যে যত টাকা ঋন নিবে তার ১০ পার্সেন্ট হিসেবে আগাম সঞ্চয় গ্রহণ করেন কামরুল ইসলামের নিয়োগকৃত কর্মচারীরা।

এভাবে এলাকার নানা গ্রাহকদের লাখ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন কামরুল ইসলাম। এছাড়া লাখ প্রতি প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা করে লাভ দেয়ার কথা বলে নেওয়া হয় ফিক্সড ডিপোজিট। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) তিনিটি শাখায় ঋন প্রদানের ঘোষণা দেন কামরুল ইসলাম। কিন্তু তিনি তার আগেই পালিয়ে যান।

গত বৃহস্পতিবার গ্রাহকরা এসে কামরুল ইসলামকে না পেয়ে তার বাড়িতে অবস্থান নেয়। এরপর থেকে লাগাতার গ্রাহকরা তার বাড়িতে অবস্থান করা সহ দুই দফায় মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।

অপরদিকে পুঠিয়া থানায় মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে কামরুল ইসলাম সহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া তিনজন মাঠকর্মীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে গ্রাহকরা। এ অবস্থায় গতকাল সোমবার (১৫ জুন) রাতে কামরুল ইসলাম নাটোর থানায় আত্মসমর্পণ করেন।

নাটোর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম কামরুল ইসলামের আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এবিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ সহ গ্রাহকরা যাতে টাকা ফিরে পায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.