অনিশ্চিত জীবন, তবুও মাতৃভূমি না ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনড় ইউক্রেনীয়রা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্করুশ হামলার মুখে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছেন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে বাঁচতে কেউ কেউ লুকিয়েছেন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে। সেখানে মানবেতর দিন পার করছেন অনেকেই।
রাশিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। সামরিক কিংবা বেসামরিক কোনো স্থাপনাই বাদ যাচ্ছে না হামলা থেকে। প্রাণ বাঁচাতে তাই অনেকেই সীমান্ত পার হয়ে যাচ্ছেন আশপাশের বিভিন্ন দেশে। আবার অনেকেই নিজ মাতৃভূমি না ছাড়ার সিদ্ধান্তে আছেন অনড়।
ইউক্রেনের মাইকোলাইভকা গ্রামে বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ সেনারা। তাই প্রাণভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা লুকিয়েছেন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেখানে থাকছেন রুশ হামলার প্রথম দিন থেকেই।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, একসঙ্গে গাদাগাদি করে শুয়ে-বসে দিন কাটছে তাদের। দেখা দিয়েছে খাবার পানি আর প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট। এত অসুবিধা আর প্রাণের ভয় নিয়েও দেশ ছেড়ে পালাতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা। শিগগিরই যুদ্ধ শেষ হবে–এমন আশায় দিন গুনছেন তারা।
আঁচড় লাগছে বাংলাদেশিদের গায়েও। ইউক্রেনের জলসীমায় আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ বিমান হামলার শিকার হয়েছে। বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে অলভিয়া বন্দরে থাকা ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে এ হামলা হয়।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী। হামলার পরই নাবিকরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা গেছেন বলেও জানান ক্যাপ্টেন আনাম।
এর আগে, ইউক্রেনের জলসীমায় আটকে পড়েছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) এই জাহাজটি। এতে ২৯ নাবিক রয়েছেন বলে বিএসসি সূত্রে জানা গেছে।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়।
তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার নির্দেশনা দেন শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তেপাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর দেশটির বন্দরগুলোতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি জাহাজটির মতো আরও কয়েকটি জাহাজ সেখানে আটকা পড়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.