অনাবৃষ্টির কারণে রাজশাহীর পুঠিয়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে আমের মুকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: হযরত শাহ মখদুম (রু:) এর পুণ্যভূমি, শিক্ষা নগরী রাজশাহীর আম বিখ্যাত। রাজশাহীর জনগণ যে আম খায়,তার তিনগুণ আম দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। আমের মৌসুমে কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যাস্ত সময়,যেন দম ফেলার সময় নেই।
এবার পুঠিয়ায় অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে আম বাগানগুলোতে। বর্ষা মৌসুমের পর থেকে সেভাবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবছর অনেক আম গাছেই মুকুল আসেনি। যে গাছগুলোতে মুকুল এসেছে তাও খরার কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে। চাষিরা বলছেন, দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে সেচের আওতার বাইরে যে বাগান রয়েছে সেগুলোতে মুকুল শুকিয়ে ও আমের গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুঠিয়া উপজেলায় নতুন ও পুরাতন মিলে প্রায় সাড়ে ৮ শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমবাগান রয়েছে যা গতবছরের তুলনায় প্রায় ২০ হেক্টর বেশি জমি। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় গত মৌসুমে এই এলাকায় আমের উৎপাদন হয়েছিল প্রায় সাত হাজার মেট্রিক টন। তবে এ বছর খরার কারণে বেশির ভাগ বাগানগুলোতে আমের মুকুল আসেনি। যার কারণে এবার প্রাথমিক উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন।
উপজেলার বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা গেছে, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বেশির ভাগ আমগাছে মুকুল আসেনি। তবে লখনা, আম্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, দুধসর ও কালুয়া জাতের কিছু গাছে মুকুল এসেছে। এর মধ্যে সঠিক পরিচর্যা করায় অনেক চাষিদের বাগানে আমের গুটি দেখা দিয়েছে।
সদর ইউনিয়নের তারাপুর এলাকার একজন আমচাষি বলেন, চলতি আমের মৌসুমে এখনো পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। এই কারণে অনেক আমবাগানে মুকুল দেখা দেয়নি। আমাদের সেচের আওতায় যে গাছগুলো আছে সেগুলোতে বেশি মুকুল এসেছে। আর সেচের আওতার বাইরের ফজলি, আশ্বিনা ও আঁটি জাতের কিছু বাগানে স্বল্প মুকুল দেখা দিলেও তা খরার কারণে শুকিয়ে ঝরে পড়ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুনাহার ভূঁইয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বর্ষা মৌসুমের পর এই এলাকায় আর বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে আগামী দু-চার দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগের চেয়ে চাষিরা এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শে বাগানগুলোতে নিয়মিত সেচ ও সঠিক সময় পরিচর্যা করছেন। আশা করা হচ্ছে অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করলে আমের ফলন ভালো হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.