অচলাবস্থা অবসানে ‘নতুন প্ল্যান’ দিলেন ট্রাম্প

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা শাটডাউন বা অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে নতুন একটি পরিকল্পনা পেশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রয়োজনীয় তহবিল নিয়ে মার্কিন সরকারে এই আংশিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। খবর বিবিসির।

ট্রাম্প তার নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছু বিষয়ে ‘ছাড়’ দিতে রাজি হয়েছেন। বিনিময়ে দেয়াল নির্মাণের প্রয়োজনীয় ৫৭০ কোটি ডলার তহবিল চাইছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, অভিবাসীদের স্বাগত জানানোর গর্বিত ইতিহাস রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, কিন্তু ওই ব্যবস্থা ‘অনেক আগেই ভেঙে’ পড়েছে।

তিনি বলেন, আমি এই অচলাবস্থা ভাঙতে এবং সরকারকে এগিয়ে নিতে কংগ্রেসের জন্য পথ তৈরি করতে চাই।

নিজের বক্তব্যে আবারও জোর দিয়ে দেয়াল নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, এটা সব জায়গা নির্মিত হবে না, বরং যেখানে অগ্রাধিকারযোগ্য এলাকা রয়েছে সেখানে একটি স্টিলের দেয়াল মাত্র। কিন্তু এটা নির্মাণ করতে ৫৭০ কোটি ডলার প্রয়োজন।

ট্রাম্প ‘ছাড়’ দেয়ার জন্য যে দুটি পরিকল্পনার কথা বলেছেন, সেগুলোর ড্রিমার্স ও টেমপোরারি প্রোটেকশন স্ট্যাটাস (টিপিসি) সুবিধা পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

ড্রিমার্স হলেন তারা, যারা তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে ছোট বয়সে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। তাদের সংখ্যা প্রায় সাত লাখ। এসব ব্যক্তি বিশেষ এক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছে। যার ফলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে না বটে, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও পাবেন না। কিন্তু সেখানে কাজ করতে পারবেন।

ট্রাম্প এই কর্মসূচি বাতিলের চেষ্টা করছেন। তবে ট্রাম্প এখন বলছেন, তিনি ড্রিমার্সদের জন্য ওই সুবিধা আরও তিন বছরের জন্য বৃদ্ধি করবেন।

তিনি আরও বলেন, টিপিসি ধারীদের জন্যও ওই মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধি করা হবে। বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিরা টিপিসি’র আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে এমন সুবিধাভোগী লোকের সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই কর্মসূচিও বাতিল করতে চাইছেন।

এছাড়াও মানবিক সহায়তা, আরও সীমান্ত ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং ৭৫ জন নতুন অভিবাসী বিষয়ক বিচারক নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প।

গত ২১ ডিসেম্বর মার্কিন সরকারে আংশিক অচলাবস্থা শুরু হয়। এর ফলে প্রায় এক মাস ধরে বেতন ছাড়াই কাজ করছে আট লাখের বেশি সরকারি কর্মী।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.