অগাস্টেই কলকাতাবাসীর শরীরে Herd Immunity, তবে কি কলকাতাবাসী করোনা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে ?

কলকাতা প্রতিনিধি: করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। বাঙালির শারদোৎসবের আগে-পরে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বাজারে চলে এলেই সেটাই হবে সব থেকে বড় প্রাপ্তি।
কোভিডের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেই শহরের চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের মত এই মুহূর্তে শহর কলকাতার ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত।
শহরের কোভিড-১৯ স্ট্র্যাটেজি দলের অন্যতম সদস্য চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‌যে কোন শহরে কুড়ি শতাংশ মানুষ করোনা সংক্রমিত হলেই শহরবাসীর শরীরে Herd Immunity পাওয়ার তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা।
সেক্ষেত্রে আমাদের শহরের মানুষজনের মধ‍্যে অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে Herd Immunity চলে আসার কথা।” Herd Immunity–র পাশাপাশি এই মুহূর্তে আরও দুটো বিষয়ে জোর দিতে চান চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার। প্রথমত মাস্ক ব্যবহার।
এই মুহূর্তে প্রত্যেকের মাক্স ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে করছেন শহরের এই বিশিষ্ট চিকিৎসক। সঠিক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করলে কোভিড সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
দ্বিতীয় যে বিষয়টিতে জোর দিতে বলছেন শহরের কোভিড-১৯ স্ট্র্যাটেজি দলের সদস্য ডক্টর সরকার, সেটি হল সেভ লাইফ। এই পদ্ধতিতে শহরের যত বেশি সংখ্যক হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিটি হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও নিয়ন্ত্রিত করতে হবে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় অবাধ যাতায়াত ব‍্যবস্থা। এতে আখেরে লাভ হবে জেলা-শহরগুলোর। এই মুহূর্তে আন্তঃজেলা গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ মিলে গেলে কোভিড নিয়ে আতঙ্কের দিন শেষ হয়ে আসছে শহর কলকাতায়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.