বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হুমকি দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করবে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই হুমকি দিয়েছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে। জাতিসংঘের সদস্য হতে ফিলিস্তিনের আবেদনে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ার পর তিনি এ কথা বলেছেন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিশ্ব আন্তর্জাতিক বাস্তবায়নে রাজি ও ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পাশে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র দখলদারদের সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রেখেছে, ইসরায়েলকে গণহত্যামূলক যুদ্ধ থামাতে আহ্বান জানাতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। ইসরায়েলকে অর্থ ও অস্ত্র দিচ্ছে দেশটি। যা দিয়ে আমাদের শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, ধ্বংস করা হচ্ছে আমি ঘর-বাড়ি। আন্তর্জাতিক ফোরামে দেশটি আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। যে অবস্থান অঞ্চলটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পক্ষে যায় না।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। অঞ্চলটিতে শান্তি স্থাপন ও দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল, তা থেকে সরে গেছে।
আব্বাস অভিযোগ করে বলেছেন, ন্যায্য সমাধান ছাড়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান হবে না। ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি তহবিল চুরির বিষয়ে নীরব থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার থেকে সরে গেছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার জন্য ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছিল। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের ১২টি সদস্য দেশ। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোটদানে বিরত ছিল। ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তা তা পাস হয়নি।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য মর্যাদা নেই। ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনকে নিজস্ব প্রশাসন ও সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের পূর্ণ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তবে তা দেওয়ার পথ উন্মুক্ত রাখা হয়। ২০১২ সালে জাতিসংঘে অসদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছে ফিলিস্তিন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.