এরশাদ গ্রুপের ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীতে এরশাদ গ্রুপের জিএম ও প্রোডাকশন ম্যানেজার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোম্পানীর প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন এরশাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এরশাদ আলী।

আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন, এরশাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এরশাদ আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন প্রায় ২৫ বছর যাবত এরশাদ গ্রুপের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সুনামের সাথে দেশ ও বিদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

এরশাদ গ্রুপ পদ্মা সেতুতে পাথর সরবরাহ করে প্রথম স্থান অর্জন করায় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের কাছে থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছে। তিনি উমরা হজ্ব পালনে সৌদি আরবে গমন ও শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থতার কারণে ব্যবসা থেকে দূরে ছিলেন। এ সুযোগে তার ব্যবসায়িক সুনাম এবং অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করার লক্ষ্যে কোম্পানীর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, প্রতিদ্বন্দিতাকারী তার গ্রুপের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে কম্পানীর প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাত করে।

তার গ্রুপের জিএম মাহমুদ হাসান ও প্রোডাকশন ম্যানেজার আশরাফুজ্জামান শাহীন সারাদেশে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানে পন্য সরবরাহ না করে অন্যত্র বাজার মূল্যের কম দামে পন্য বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাত করে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, এই জালিয়াত চক্রটি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানে তার স্বাক্ষরিত চেক গ্যারান্টি হিসেবে প্রদান করে পন্য সরবরাহ না করায় তারা তার নামে চেকের মামলা দায়ের করার হুমকি দিচ্ছে।

এতে করে কোম্পানী যেমন বাজার হারাচ্ছে, তেমনি মূলধন হারিয়ে দেউলিয়াত্ব বরন করতে চলেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে কোম্পানীর জিএম মাহমুদ হাসান ও প্রোডাকশন ম্যানেজার আশরাফুজ্জামান শাহীন রাজশাহী অঞ্চলে আরো ৬৫ লক্ষ টাকা বিভিন্ন দোকান থেকে নিয়ে গা ঢাকা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে গত (১৬ এপ্রিল) সকালে তিনি ধানমন্ডি লেকে হাটাহাটি করা অবস্থায় আলাউদ্দিন স্টীল মিলের পরিচালক বেল্লাল হোসাইন, মাহমুদ হাসান ও আশরাফুজ্জামান শাহীনসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক তার গতিরোধ করে এবং তার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে তার কাছে থাকা চুক্তিপত্রের মূলকপি ও চেক ফেরত চায়। কাগজপত্র ফেরত না দিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় তিনি ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং : ১৩/৭৩, তারিখ ১৮/০৪/১৮ই। উল্লেখিত জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জ ও শাহমুখদুম থানায় টাকা আত্মসাতের একাধিক মামলা রয়েছে। পরে শাহমুখদুম থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাহমুদ হাসান ও আশরাফুজ্জামানকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করে।

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছু টাকার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এই চক্রের সাথে জড়িতরা তার কাছে থাকা মাহমুদ হাসান ও আশরাফুজ্জামান শাহীন এর চুক্তিপত্র, গ্যারান্টি চেক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র উদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা যে কোন সময় তার বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে।

তিনি তার কোম্পানীর ভেতরে থাকা জালিয়াতি চক্রের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে এরশাদ গ্রুপের টাইলস্ ফ্যাশানের জিএম আল মামুন ও আইটি ম্যানেজার এসএম মাজেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : প্রেস সংবাদ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.