বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি: বুদ্ধদেব বসুর পর নাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুই দ্বিতীয় বাঙালী যিনি নাটকে, সর্বভারতীয় সাহিত্য সম্মান “সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারে পেতে চলেছেন৷ তাঁর ‘মীরজাফর ও অন্যান্য নাটক’ বইটির জন্য এবছরের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হতে চলেছেন তিনি৷
অশালীন, অরণ্যদেবের মত নাটকগুলির মধ্যে দিয়ে একেবারে প্রথম থেকেই ব্রাত্য বসু তাঁর স্বতন্ত্রতার ছাপ রেখেছেন৷ একের পর এক নাটকে নতুন নাট্যরীতি, আধুনিক ভাষার ব্যবহার নাট্য প্রেমী মানুষ চমকে গিয়েছিল৷ মানুষ ব্রাত্যের নাটকের আবেশে ক্রমে বুঁদ হয়ে থাকল৷
উঙ্কেল টুঙ্কেল, রুদ্ধ সংগীত, কৃষ্ণগহ্বর, মুম্বাই নাইটস, একের পর এক নাটকে ব্রাত্য বসু ক্রমে নিজেকে ছাপিয়ে গেছেন৷ পুরস্কার ঘোষনার পর ব্রাত্য বলেন “আমি শুনেছি আগে বাংলা ভাষায় শেষ বার বুদ্ধদেব বসু নাটকের জন্য অ্যাকাদেমির স্বীকৃতি পেয়েছিলেন৷ নাটক যে সাহিত্য তা এদেশে খুব একটা ধর্তব্যের মধ্য আসেনি৷ অথচ পিরনদোল্লা বা স্যামুয়েল বেকেট নাটকের জন্য নোবেল পান৷ তাঁরা কিন্তু উপন্যাসও লিখেছেন৷ শুধু আমার নিজের জন্য নয়, নাটক মাধ্যমটি সাহিত্য হিসাবে আর ব্রাত্য নয় বলে ভালো লাগছে ৷
কবি সুবোধ সরকার তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন “অভিনন্দন ব্রাত্য বসু। আজ নাটকের দিন। আজ বাংলা সাহিত্যের দিন। আজ প্রতিভা উদযাপনের দিন।”
সাহিত্য অ্যাকাডেমির তরফে ২০টি ভাষার পুরস্কার ঘোষনা করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৩০শে ডিসেম্বর৷ সাহিত্য অ্যাকাডেমির তরফ থেকে বাংলা ভাষার আরও দুটো পুরস্কার ঘোষনা করা হয়েছে৷ সাহিত্য অ্যাকাডেমি “য্বব পুরস্কার” পেলেন গৌরব চক্রবর্তী, তাঁর “শ্রীমান সনেট” নামক কবিতার বইটির জন্য এবং “বাল সাহিত্য” পুরস্কার পেলেন সুনীর্মল চক্রবর্তী, তাঁর “বটকেশ্বর বাবুর ছাতা” ( ছোট গল্প ) নামক বইটির জন্য৷
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.