ফেঁসে যাচ্ছেন নেইমার

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ফাঁকি দেয়ায় ফেঁসে যাচ্ছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। স্প্যানিশ ট্যাক্স অফিস কর্তৃক প্রকাশিত কর ফাঁকি দেয়ায় কালো তালিকাভুক্তদের মধ্যে সবার উপরেই আছে নেইমারের নাম।

স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের সেই তালিকায় হাজারখানেক নাম আছে। তবে নেইমারের মতো এতো অর্থ ফাঁকি দেননি কেউই। কর্তৃপক্ষ বলছে, নেইমার ফাঁকি দিয়েছেন ৩৪.৬ মিলিয়ন ইউরো। বাংলায় অংকটা ৩৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি!

স্প্যানিশ গণমাধ্যম বলছে, গত বছর থেকেই নেইমারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ আনে আয়কর কর্তৃপক্ষ। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারই প্রথম কোনো তালিকা প্রকাশ করা হলো।

অফিসিয়াল ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনায় থাকাকালীন এই কর ফাঁকি দিয়েছেন নেইমার। সেখানে আরো বলা হয়েছে, কর দেয়ার বিভিন্ন শর্ত যেমন তিনি মানেননি তেমনি সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কর প্রদান করেননি।

স্পেনের গণমাধ্যম বলছে, এরইমধ্যে নেইমারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দেশটির অর্থবিভাগ। বিশেষ করে তার দু’টো দলবদলের বিষয়ে তদন্ত করছে তারা।

২০১৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব স্যান্তোস ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দেন নেইমার। ৪ বছর পর রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরো ট্র্যান্সফার ফি’তে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন তিনি।

ব্রাজিলিয়ান এই তারকার সঙ্গে চুক্তির শুরুতে বার্সা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, স্যান্তোস থেকে তাকে ৫৭.১ মিলিয়ন ইউরোতে কিনেছে তারা। তবে মাদ্রিদে রাষ্ট্রপক্ষের তদন্ত শেষে বেরিয়ে আসে, মূল ট্র্যান্সফার ফি ছিল ৮৬.২ মিলিয়ন ইউরো, যার অর্ধেকের বেশী পরিশোধ করা হয় নেইমারের বাবা-মা’কে।

২০১৬ সালে বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষর করেন নেইমার। ফলে বেতন ছাড়াও বোনাস বাবদ বার্ষিক ২৬ মিলিয়ন বেশি ইউরো পাওয়ার কথা তার। তবে পরের বছরই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করার পর সেটি দিতে অস্বীকৃতি জানায় বার্সা কর্তৃপক্ষ।

ফলে বোনাসের দাবিতে আদালতে মামলা ঠুকে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে চুক্তি ভঙ্গ করায় তার মামলা বাতিল করে দেন স্প্যানিশ আদালত। উল্টো নেইমারকে আদেশ দেন ক্লাবকে ৬.৭৯ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করতে।

যাই হোক, নতুন করে আবারো কর ফাঁকির মামলায় জড়ানোয় এবার কতো জরিমানা গুণতে হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।

স্পেনের রাজস্ব বিভাগ যে এবারই প্রথম কোনো ফুটবলারের বিপক্ষে অভিযোগ আনলো এমন নয়। এর আগেও তাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে বর্তমান সময়ের বিশ্বসেরা দুই ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। দু’জনকে দিতে হয়েছে বড় অংকের জরিমানাও।

২০১৬ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে ২১ মাসের কারাদন্ডাদেশ পান বর্তমান বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তবে ২ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিয়ে সেবার জেলের হাত থেকে রক্ষা পান তিনি।

রিয়াল মাদ্রিদে থাকাকালীন কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ এনে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে রোনালদোকেও ২ বছরের কারাদন্ড দেন স্পেনের আদালত।

তবে ১৮.৮ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা প্রদান করে শাস্তি মওকুফ করে নেন বর্তমানে য়্যুভেন্তাসে খেলা পর্তুগিজ সুপারস্টার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.