নাটোরে আম সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু

 

নাটোর প্রতিনিধি: আজ থেকে নাটোর জেলায় আম সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। রাসায়নিক পদার্থের অপব্যবহার রোধ করে পরিপক্ব আম প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুই মাসব্যাপী এ সংগ্রহ কার্যক্রম আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে। নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় চার হাজার ৮৪৪ হেক্টর জমি থেকে ৬২ হাজার ৩২৮ টন আম উৎপাদন হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৫ মে) থেকে গোপালভোগ আম পাড়ার মধ্য দিয়ে এ সময়সূচির অনুসরণ শুরু হয় । আম বাগানের মালিকরা বছরের প্রথম আত্মীয় স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করতে দেখা যায়। বাজারে ওঠা প্রতিমণ গোপাল ভোগ আম বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা মণ হিসেবে।পরবর্তীতে ৫ জুন থেকে ল্যাংড়া, লকনা, নাক ফজলী জাতের আম, ১০ জুন থেকে হাড়িভাঙ্গা আম, ২০ জুন থেকে আম্রপালী, মল্লিকা ও ফজলী, ১০ জুলাই থেকে বারি-৪ এবং সর্বশেষ ২৫ জুলাই থেকে আশ্বিনা জাতের আম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র থেকে নাটোরে উৎপাদিত ১২ জাতের আম পাড়ার সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এই সময়সূচির বাইরে সাত থেকে দশ দিন আগে কোন জাতের আম গাছে পরিপক্ব হলে উপজেলা কৃষি বিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কৃষক বা ব্যবসায়ী গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে পারবেন।

বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমরেজ আলী জানান, গাছ থেকে আম সংগ্রহের সময়সূচি সম্পর্কে এলাকার আম চাষি ও ব্যবসায়ী-সবাই সচেতন এবং তা যথাযথভাবে অনুসরণও করা হচ্ছে। লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, আম সংগ্রহের সময়সূচি গ্রাম পর্যায়ে মাইকিং ও লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এ সংক্রান্ত ইউনিয়ন কমিটিও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

লালপুর উপজেলার গাছ থেকে সংগ্রহ করা আম লালপুরের বাইরে যেতে গেলে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের প্রত্যয়ন সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। সময়সূচির বাইরে গত বুধবার উপজেলার নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আম গাছ থেকে লকনা জাতীয় দেড় মণ আম সংগ্রহ করায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে সমুদয় আম বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আম সংগ্রহের সময়সূচী বাস্তবায়নে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার নির্দেশনার আলোকে জেলার সাতটি উপজেলা প্রশাসন এলাকার আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করেছে এবং সময়সূচির প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সময়সূচীরর বাইরে আম সংগ্রহ করা হলে এবং আমে রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেলে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ার করা হয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.