ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী মাহমুদা বাঁচতে চায়

লালমনিরহাট প্রতিনিধী: ১৬ বছরের মাহমুদা খাতুন। একজন মেধাবী ছাত্রী। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বালাপুকুর গ্রামের ভ্যানচালক নুর-মোহাম্মদ এর মেয়ে। এবং স্থানীয় বালাপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের ২০১৯ইং সনের বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
বর্তমানে দরিদ্র পরিবারের এ মেয়েটি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত।অর্থাভাবে হচ্ছেনা চিকিৎসা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক,সহপাঠি আর স্থানীয়দের সহায়তায় চিকিৎসা শুরু হলেও  বর্তমানে অর্থের যোগান না হওয়ায় সে চিকিৎসাও বন্ধের পথে।
ভ্যানচালক বাবার যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম। ফলে মেধাবী এ শিক্ষার্থীর চিকিৎসা  বন্ধ হয়ে গেছে। দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
অসুস্থ মাহমুদা জানায়,২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল সে। অন্যান্য সহপাঠীদের মতো ভালো ফলাফলের আশায় ভালো প্রস্তুতিও ছিল তার। কিন্তু অসুস্থ অবস্থায় প্রথম দিনের পরীক্ষা দেয়ার পর আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর কোনো পরীক্ষায় অংশ নেয়া সম্ভব হয়নি।
মাহমুদার ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ায় সে স্বপ্নও দূরাশায় পরিণত হয়। তবে ভালো চিকিৎসায় সুস্থ হবে এই আশায় সে বুক বেঁধেছে। সুস্থ হয়ে আবার লেখাপড়া করতে চায়। হতে চায় একজন আদর্শ শিক্ষক।
মাহমুদার বাবা ভ্যানচালক নুর মোহাম্মদ বিটিসি নিউজকে জানায়,আমার মেয়েটি লেখাপড়ায় ভালো ছিল।কিন্তু বর্তমানে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় সে এখন শয্যাশায়ী।আমি বয়স্ক মানুষ।
ভ্যান চালিয়ে খাই।অন্যের সাহায্যে যেটুকু পারছি চিকিৎসা করিয়েছি।কিন্তু টাকার অভাবে বর্তমানে তার চিকিৎসা বন্ধের পথে।সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিমাসে তাকে কেমোথেরাপি দিতে হবে। তাছাড়াও ওষুধপত্র তো রয়েছে।
তাকে সুস্থ করতে গেলে ৭থেকে ৮লাখ টাকার প্রয়োজন।কিস্তু আমার মতো ভ্যানচালক পিতার পক্ষে তা সম্ভব নয়।তার চিকিৎসা সহায়তা চেয়ে সমাজসেবা কার্যালয় বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে আবেদন করলেও দীর্ঘ ১০মাসেও কোনো সহায়তা পাননি দরিদ্র এ পরিবারটি। ফলে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে সে।
বালাপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বিটিসি নিউজকে জানান,মাহমুদা খাতুন আমাদের স্কুলের ছাত্রী ছিল।সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে চিকিৎসা পেলে সে সুস্থ হয়ে ওঠবে। কিন্তু ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা তার বাবার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে তাকে দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের  ক্যান্সার রোগ বিষেশজ্ঞ  ডাক্তার স্বদেশ বর্মন জানান,মাহমুদা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। এ জন্য তাকে ওষুধপত্র দেয়া হয়েছে।
কেমোথেরাপি দেয়া হচ্ছে।যতদিন পরিপূর্ণ সুস্থ না হয় ততদিন থেরাপি দিতে হবে। তবে এটি অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা।

মেয়েকে বাঁচানোর জন্য ভ্যানচালক বাবা সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করছেন।

যোগাযোগ নম্বর-মাহমুদা খাতুন-মোবাইল:-০১৭০৬-৭৬৯৮৪৩। 

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.