উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে যৌতুক ও শারিরকি নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে মামলা করায় স্বামীর পরিবারের হুমকীর মুখে আতঙ্কে অসহায় পরিবার।
ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায় উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিশুন্ড গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বজলু হাওলাদারের মেয়ে রুমা বেগম (২৫) এর শিকারপুর ইউনিয়নের দক্ষিন মাদার্শী গ্রামের আঃ হারুন হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার (২৯) এর সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
তাদের দাম্পত্য জীবনে ৬ বছরের জুবায়ের ইসলাম রুমান নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে স্বামী সোহাগ হাওলাদার ও তার শাশুরী সেমায়া বেগম মিলে রুমা বেগমের উপর চালাত অমানুষিক নির্যাতন। এমনকী সুখের জন্য বাবার বাড়ী থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা এনে স্বামীকে দেয়ার পরেও সুখ মিললনা নির্যাতিতার ভাগ্যে। প্রতিনিয়ত স্বামীর নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতনা গৃহবধু।
এঘটনায় এলাকায় একাধিকবার শালিশি বেঠক হলেও কোন ফলপ্রসু হয়নি। এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি ওই যৌতুকলোভী পরিবার। পুনরায় সোহাগ হাওলাদার আরো ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হলে স্ত্রীর উপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং পরবর্তীতিতে তালাক দিয়ে পুনরায় অনত্র বিবাহ করবে বলে হুমকী দেয়।
এরপর কোন উপায়ন্তু না পেয়ে ২৪ মে নির্যাতিতা রুমা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে অভিযুক্ত স্বামী সোহাগ হাওলাদার ও শাশুরী সেমায়া বেগমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা করায় সোহাগ হাওলাদার বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী দেয় স্ত্রীর স্ব-পরিবারকে।
নির্যাতিতা রুমা বেগম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমাকে যৌতুকের জণ্য প্রায়ই মারধর করতো। এছাড়ারও কিছুদিন পূর্বে আমার স্বামী সোহাগ হাওলাদার ও শাশুরী সেমায়া বেগম মিলে যৌতুকের জন্য আমাকে চুলের মুটকি ধরে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ও আমার নাবালিকা ছেলেকে আমার কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী দেয়। বর্তমানে আমি অসহায় হয়ে পরেছি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.