নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি থেকে প্রার্থী ঘোষনা করা হয়েছে। ঘোষনার পর থেকে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমে গেছেন প্রার্থীরা।
রাজশাহী-৩ পবা-মাহনপুর আসনে এবারও মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
তিনি প্রতিদিন পবা-মোহনপুরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল ও কর্মীসভায় অংশগ্রহন করছেন।
বুধবার বিকেলে পবা উপজেলা হুজুরী পাড়া ইউনিয়ন এর দারুশা হাট কর্ণহার এলাকা গণসংযোগ করেন। এসময়ে বাজারের প্রতিটি দোকানে যান এবং পথচারীদের সাথে কথা এবং ধানের শীষের লিফলেট প্রদান ও ধানের শীষের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন। এসময়ে দুইটি স্থানেই ধানের শীষের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। স্লোগানে তারা বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সালাম দেন এবং ধানের শীষের ভোট চান।
এদিকে বাজার ছেড়ে পাড়ার মধ্যে গেলে নারী-পুরুষরা ধানের শীষের প্রার্থীকে কাছে থেকে এক নজর দেখার জন্য রাস্তায়, বাড়ির গেটের সামনে ও ছাদে উঠে হাত নারেন এবং ধানের শীষের পক্ষে সমর্থন প্রদানসহ ভোট প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রার্থীও সবার সাথে করমর্দন করেন।
দারুশা ও কর্ণহার এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, তারা কখনো দেশের স্বাধীনতা বিরোধী ও দেশদ্রোহীদের ভোট দেবেন না। কারণ বাংলাদেশ নামে একটি দেশ হক জামায়াত ইসলাম স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় চায়নি, এখনো তারা দেশকে ভালবাসেনা। শুধু তাইনয় জামায়াত সে সময়ে এমন কোন খারাপ কাজ নাই করেনি। তারা মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করিয়েছে। নারীদের উপরে পাশবিক অত্যাচার করেছে। শুধু তাইনয় তারা যুবতী মেয়ে ও নারীদের পাকিস্তানী সেনাদের হাতে তুলে দিয়েছে। এমন দলকে তারা কখনো ভোট প্রদান করবেন না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। তারা আরো বলেন, ঐ ঘৃনীত দলের প্রার্থী ও লোকজন আবার ভোট চাইতে আসে কোন লজ্জায়।
তারা বলেন, জামায়াত কোন ইসলামী দল নয়। তারা ইসলাম লাগিয়ে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। কারণ তাদের হিন্দু শাখা রয়েছে। শুধু তাইনয় খুলনার-১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী নামে একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোককে তারা নমুনেশন দিয়েছে। তার হাতে দাড়িপাল্লা তুলে দিয়েছে।
তারা আরো বলেন, জামায়াত ইসলামের নামে ভন্ডামী করছে, তারা বলছে দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে বেহেস্তে পাওয়া যাবে। তাহলে কৃষ্ণ নন্দী কোন বেহেস্তে যাবেন বলে প্রশ্ন করেন তারা। ঐ হিন্দু ব্যক্তি কিভাবে বেহেস্তে যাবেন আর তিনি কিভাবে বেহেস্তের টিকি বিক্রি করবেন বলে উল্লেখ করেন তারা। অত্র এলাকা সমুহের জনগণ জামায়াতের এই নোংরামীতে বিশ্বাস না করে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য এলাকার অন্যান্য নারী-পুরুষদের অনুরোধ করেন।
এদিকে গণসংযোগ শেষে সংক্ষিপ্ত পথ সভায় এডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেন, বিএনপি নিয়ে দেশে ও বিদেশে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারেক রহমানকে মাইনাস করার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র কোনভাবেই সফল হবেনা। ঠিক সময়মত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা হলেও ভাল আছে। কিন্তু দেশের মধ্যে একটি চক্র বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে নানা ধরনেল মিথ্যাচার করছে। এ মিথ্যাচার থেকে তাদেরবিরত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। বিএনপি এবারও ক্ষমতায় আসলে পবা-মোহনপুরের ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। সেইসাথে বেকারত্ব হ্রাস, রাস্তাঘাট এর উন্নয়ন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠনের উন্নয়ন করা হবে। সেইসাথে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। শুধু তাইনয় কৃষকদের উন্নয়নেও কাজ করবেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফা অনুযায়ী কৃষকদের জন্য কৃষি কার্ড ও নারীদের নামে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কর্মমুখী শিক্ষার উপরে গুরুত্বারোপ এবং কলকারখানা স্থাপনে বিশেষ নজর দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই নির্বাচনী তপশিল ঘোষনা হবে। তপশিল ঘোষনার পরে প্রচারণার গতি আরো বাড়াতে হবে বলে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন তিনি। সেইসাথে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে ধানের শীষে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান। সেইসাথে দেশ বিরোধী দল হতে দূরে থাকার জন্য পবা-মোহনপুরবাসীকে বিশেষ অনুরোধ করেন মিলন। বক্তব্য শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি রাজশাহী জেলা শাখার সদস্য শাহজাহান আলী, পবা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, হুজুরীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শিহাব উদ্দীন, সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন, পবা উপজেরা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুর রহমান, যুবদলের সাবেক সদস্য মাজদার রহমান, হুজুরীপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুস সালাম ও পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজসহ অত্র ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিকদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীবৃন্দ। #

















