বিএনপি প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপাার্সন সাবেক তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে আজ শনিবার সকালে নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয় হতে বিক্ষোভ মিছিল বের কওে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ মিছিলটিকে সামনের দিকে এগুতে বাধা দিলে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ সেখানেই সমাবেশ করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। সভা পরিচালনা করেন মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি।
অন্যদের মধ্যে মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মুজাদ্দেদ জামানী সুমন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সমাপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভূট্টো, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম টুটুল, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফায়সাল সরকার ডিকো, মহানগর ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, যুগ্ম সম্পাদক নাহিন আহম্মেদ ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক কনক সহ বিভিন্ন ইউনিট ও শিকক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা মিনু বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আর কোন আন্দোলন নয়। ঈদের পর হতে বর্তমান অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের জন্য কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে বিশেষ একটি অঞ্চলের লোকজন ছাড়া প্রশাসনের কোন লোকবল তাঁর সাথে নাই। এমনকি আওয়ামী লীগের সাথেও নেই। আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে এবং মামলা ও জনগণের রোষানলে পড়ার ভয়ে আওয়ামী লেিগর নেতৃৃবন্দ এবং পুলিশ ও প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাই বিদেশে বাড়ী করে তাদের পরিবারদের পাঠিয়ে দিয়েছে। আগামীতে বিএনপি কক্ষমতায় আসলে অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে যতগুলো প্রকল্প স্বাক্ষর হয়েছে তার হিসাব নেওয়া হবে এবং দেখানো পথে তাকে পাঠানো হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন মিনু। সেইসাথে আগামী নির্বাচনের পূর্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের জন্য এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আন্দোলনে সকল একসাথে মাঠে থাকার আহবান জানান তিনি।
বিএনপি নেতা মিলন বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ফ্যাসিস্ট ও একটি বিশেষ দেশের তাবেদারী সরকারের সাথে ষড়যন্ত্র করে কারাগারে রেখেছে। হাসিনা এ।খন আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়। ভারত সরকারের মূখ্যমন্ত্রীতে পরিণত হয়েছে বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। আগামীতে সরকারের পতনের আন্দোলনে সকলকে শরীক হওয়ার আহবান জানান তিনি।
সভাপতি আগামীতে আন্দোলনের জন্য কেন্দ্রের এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপি ও সিনিয়র নেতাদের নির্দেশ মোতাবেক সকল আন্দোলনে ছাত্রদল সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে ঘোষনা দিয়ে সমাবেশ শেষ করেন। ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.