নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার হতে যাচ্ছেন ডিআইজি ড. জিললুর রহমান। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যদিকে আরএমপির বর্তমান কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি হিসেবে পদায়ন করা হবে। চলতি সপ্তাহে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে যাচ্ছে সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৮ ব্যাচের কর্মকর্তা ড. জিললুর রহমান। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশে ভালো কোনো পদায়ন হয়নি তার। বিশেষ করে— বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) থাকাকালে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ ফান্ড তৈরি করায় সেসময় তাকে বরখাস্ত হতে হয়। পরে অবশ্য দুইবছর পর তাকে ট্যুরিস্ট পুলিশে পদায়ন করা হয়।
ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার থেকে পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি (সুপারনিউমারারি) হন। গতবছরের ৩ সেপ্টেম্বর তাকে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি, অ্যাডমিন) করা হয়। গত ২৫ আগস্ট র্যাব থেকে ডিএমপিতে পদায়ন করা হয় জিললুর রহমানকে।
এদিকে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান গতবছরের ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হন। আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে তিনিও পদোন্নতি ও ভালো পদায়ন বঞ্চিত হন। ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি থেকে পদোন্নতি দিয়ে তাকে রাজশাহীর কমিশনার করা হয়।
সূত্র বলছে, আবু সুফিয়ানের বাড়ি ফেনী জেরায়। তিনি ঢাকা কলেজ থেকে এমএ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট থেকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।
জিললুর রহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল সেসময়
২০১৫ সালের ১ জুলাই পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়— বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) জিললুর রহমানকে পদোন্নতির জন্য ঘুষ সংগ্রহে পুলিশ সদস্যদের প্রলুব্ধ করার অভ্যন্তরীণ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশের ‘ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড’ শাখার তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইজিপি বরখাস্তের সুপারিশ করেন, যার ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করে। শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণ, দুর্নীতি ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে তাকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
তখন গণমাধ্যমে খবর আসে, পদোন্নতির জন্য ঘুষের তহবিল তৈরির কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন জিললুর রহমান। ঘুষের টাকা সংগ্রহে বরিশাল মহানগর পুলিশের নিম্ন পদের পুলিশ সদস্যদেরকে প্রলুব্ধ বা উদ্বুব্ধ করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি জি, এম হাসান-ই-সালাম (বাবুল) রাজশাহী। #

















