বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর পেরিয়ে কাম্প নউয়ে ফেরার উপলক্ষ দারুণ পারফরম্যান্সে রাঙাল বার্সেলোনা। আথলেতিক বিলবাওকে উড়িয়ে লা লিগার শীর্ষে উঠল হান্সি ফ্লিকের দল।
ঘরের মাঠে শনিবার লিগ ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা। দুই অর্ধে করেছে দুটি করে গোল।
রবের্ত লেভানদোভস্কি শুরুতে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ফেররান তরেস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ান ফের্মিন লোপেস। শেষ দিকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তরেস। চোট কাটিয়ে ফিরে গোল না পেলেও দারুণ দুটি অ্যাসিস্ট করেন লামিনে ইয়ামাল।
দ্বিতীয়ার্ধের অনেকটা সময় একজন কম নিয়ে খেলতে হয় সফরকারীদের। তারা ১০ জনে পরিণত হওয়ার আগেই অবশ্য তিন গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্বাগতিকরা।
১৩ ম্যাচে ১০ জয় ও এক ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৩১। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে দুইয়ে নেমে গেছে রেয়াল মাদ্রিদ, একটি ম্যাচ কম খেলেছে তারা।
ম্যাচজুড়ে আক্রমণে দাপট দেখানো বার্সেলোনা প্রায় ৬৮ শতাংশ পজেশন রেখে গোলের জন্য ১৯টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৭টি। বিলবাওয়ের ১৩ শটের কেবল ২টি লক্ষ্যে ছিল।
বিলবাওয়ের বিপক্ষে বার্সেলোনা লা লিগায় এই নিয়ে টানা ১২ ম্যাচে অপরাজিত রইল (১০ জয় ও ২ ড্র) এবং সবশেষ আট ম্যাচের সাতটিতে জাল অক্ষত রাখল।
দফায় দফায় সময় পেছানোর পর এই ম্যাচ দিয়ে ৯০৯ দিন পর কাম্প নউয়ে ফিরল বার্সেলোনা। লম্বা সময় ধরে সংস্কার কাজ চলছে তাদের এই স্টেডিয়ামে। সংস্কারের পর এখানে দর্শক ধারণ ক্ষমতা বেড়ে হবে ১ লাখ ৫ হাজার, যা ইউরোপের সবচেয়ে বেশি। আপাতত ৪৫ হাজার দর্শক গ্যালারিতে বসার সুযোগ পেয়েছিলেন ফেরার ম্যাচে।
প্রথম দুই মিনিটে দুইবার বিলবাওয়ের রক্ষণে হানা দেয় বার্সেলোনা, যদিও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের কোনো পরীক্ষা তারা নিতে পারেনি।
চতুর্থ মিনিটে দর্শকদের উল্লাসে ভাসিয়ে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে কাছের পোস্ট দিয়ে লেভানদোভস্কির নেওয়া শটে গোলরক্ষকের হাতে লেগে বল জালে জড়ায়।
এবারের লা লিগায় ১০ ম্যাচে লেভানদোভস্কির গোল হলো ৮টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতির আগে সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে দলের ৪-২ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ৩৭ বছর বয়সী এই পোলিশ স্ট্রাইকার।
২০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ পান ফের্মিন লোপেস। বক্সে ঢুকে তার নেওয়া শট পা দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক উনাই সিমন। ফিরতি বলে বক্সের বাইরে থেকে দানি ওলমোর শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ২৪তম মিনিটে চমৎকার ফিনিশিংয়ে তরেস বিলবাওয়ের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
বিলবাও কয়েক দফায় আক্রমণে উঠলেও প্রথম লক্ষ্যে শট রাখতে পারে ৩৬তম মিনিটে। তবে উনাই গোমেসের প্রচেষ্টা ঠেকাতে বেগ পেতে হয়নি চোট কাটিয়ে ফেরা গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়াকে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। ডান দিক থেকে ইয়ামালের চমৎকার পাস ধরে বক্সে ঢুকে নিচু শট নেন তরেস, গোলরক্ষক সিমন বল আটকে দিলেও গড়িয়ে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। এরিক গার্সিয়ার পাস বক্সে প্রতিপক্ষের পা ছুঁয়ে পেয়ে জোরাল শটে জালে পাঠান লোপেস।
সেই লোপেসকে পেছন থেকে ফাউল করেই ৫৪তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বিলবাওয়ের মিডফিল্ডার সানসেত।
৮০তম মিনিটে প্রথমবার ম্যাচে বড় পরীক্ষা দিতে হয় বার্সেলোনা গোলরক্ষককে। দানির জোরাল হেড লাফিয়ে এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান গার্সিয়া।
পরের মিনিটে ওলমোকে তুলে রাফিনিয়াকে নামান বার্সেলোনা কোচ। চোটের কারণে গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে বাইরে ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে, মাঝমাঠ থেকে ইয়ামালের আরেকটি দারুণ পাস ধরে বক্সে ঢুকে চতুর্থ গোলটি করেন তরেস। #

















