বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আখ চাষীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ভারতের কর্ণাটকের বাগলকোট। বৃহস্পতিবার আখ চাষীদের বিক্ষোভ সহিংস রূপ ধারণ করে। গোদাবরী চিনি কারখানার ভেতরে আখ বোঝাই ১০০ টিরও বেশি ট্রাক্টর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এলাকায় প্রবল বিশৃঙ্খলার মধ্যে সৃষ্টি হয়।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, কারখানার ভেতরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ১০০’রও বেশি ট্রাক্টর আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ঘন ধোঁয়ায় চারপাশ ঢেকে যায়। বিশৃঙ্খলার সময় দুটি বাইকও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে রয়েছে, বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিন্তু তাতেও জেলা প্রশাসনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ গোয়েল।
কৃষক নেতা সুভাষ শিরাবুর অবশ্য এই অগ্নিসংযোগের জন্য কৃষকদের দায় অস্বীকার করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন যে কারখানার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা পুলিশের সামনেই এই সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা আখ বোঝাই ট্রাক্টরে আগুন ধরাইনি। এসপি নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওদিক থেকে পাথর ছুঁড়ে মারা হয়েছিল, এমনকি আমাদের লোকজন এবং কিছু পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছিলেন।”
তিনি দাবি করেন যে আক্রমণকারীরা পুলিশ, গাড়ি এবং কৃষকদের লক্ষ্য করে আগুন ধরিয়ে দেয়। কারখানার ভেতরে আগুন লাগানো হয়েছিল।
সুভাষ শিরাবুরের দাবি, কৃষকদের সম্মান নষ্ট করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। আখ চাষি এবং সরকারের মধ্যে মূল্য নির্ধারণ নিয়ে চলমান অচলাবস্থার মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটে। মুধোলের কৃষকরা প্রতি টন আখের দাম ৩,৫০০ রুপি দাবি করে আসছে। গত সপ্তাহে বেলাগাভির কৃষকরা ৩,৩০০ রুপি প্রতি টন আখের দামে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু মুধোলের কৃষকরা তাতে অসম্মতি জানিয়েছে।
এর আগে, শত শত বিক্ষোভকারী সাঙ্গোলি রায়ান্না সার্কেল থেকে একটি বিশাল ট্র্যাক্টর এবং গরুর গাড়ির সমাবেশ শুরু করে, এমনকি অটো-রিকশাও মিছিলে যোগ দেয়, ন্যায্য মূল্যের দাবিতে স্লোগান মুধোল শহরের প্রতিটি কোণে কোণে প্রতিধ্বনিত হয়। ফৌজদারি বিধির ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জামখণ্ডি, রাবকাভি-বানহাট্টি এবং মুধোলে এখন অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে শান্তি আনার নির্দেশ জারি করেছেন জেলা প্রশাসক সাঙ্গাপ্পা। #















