বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ইচ্ছার বিরুদ্ধে লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার চার বছর পেরিয়ে গেছে। পিএসজি ঘুরে প্রায় আড়াই বছর ধরে তার ঠিকানা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামি।
তবে বার্সেলোনার জন্য এখনও হৃদয় পোড়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকার। বললেন, ভবিষ্যতে কোনো একদিন প্রিয় আঙিনায় ফেরা নিয়ে তার প্রতিনিয়ত কথা হয় স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে।
ক্লাবের আর্থিক সংকটের কারণে নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারায় ২০২১ সালের অগাস্টে বার্সেলোনা ছাড়তে বাধ্য হন মেসি। পরে যোগ দেন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে।
২০২৩ সালের জুলাই থেকে মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। সম্প্রতি দলটির সঙ্গে ২০২৮ পর্যন্ত নতুন চুক্তি করেছেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন দ’র জয়ী।
গত রোববার রাতে হুট করেই কাম্প নউয়ে ফেরেন মেসি। তিনি পুরোনো আঙিনায় আসবেন, তা নিয়ে আগে থেকে কেউ কিছু বুঝতেই পারেনি। ইনস্টাগ্রামে মেসি ছবি পোস্ট করার পর প্রকাশ্য হয় বিষয়টি।
ওই পোস্টে ভবিষ্যতে এখানে ফেরার আশার কথাও আরেকবার শোনান তিনি।
সপ্তাহ দুয়েক আগে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মেসি। সেটি প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। সেখানেও একই প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ৩৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
“আমি সত্যিই সেখানে ফিরে যেতে চাই, বার্সেলোনাকে অনেক মিস করি আমরা। আমার স্ত্রী ও আমি, বাচ্চারা সবসময় বার্সেলোনা এবং সেখানে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলি। আমাদের বাড়ি সেখানেই আছে, সবকিছুই, তাই আমরা এটাই চাই। স্টেডিয়ামের (সংস্কার) কাজ শেষ হয়ে গেলে আমি সত্যিই আবার সেখানে যেতে উন্মুখ, কারণ প্যারিসে যাওয়ার পর থেকে আমি কাম্প নউয়ে ফিরে যাইনি এবং তারপর তো তারা মন্টজুইকে চলে গেল।”
বিভিন্ন সময়ে মেসি বলেছেন, খুব করেই স্প্যানিশ ক্লাবটিতে থেকে যেতে চেয়েছিলেন। আবারও বললেন, গোটা ক্যারিয়ার বার্সেলোনায় কাটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।
“(বার্সেলোনা) ছেড়ে যাওয়ার পর আমার অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিল, কারণ যেভাবে সবকিছু হয়েছিল, মহামারীর কারণে সেখানে আমার শেষ বছরগুলোতে ভক্তদের ছাড়াই খেলেছিলাম (কোভিডের কারণে দর্শনশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হতো)। সেখানে আমার জীবনের অনেকটা সময় কাটানোর পর, আমি যেভাবে কল্পনা করেছিলাম, যেভাবে স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেভাবে ছেড়ে আসতে পারিনি। আমি যেমনটা বলেছিলাম, আমার পুরো ক্যারিয়ার ইউরোপে, বার্সেলোনায় খেলব। কারণ এটাই ছিল আমার পরিকল্পনা, এটাই আমি চেয়েছিলাম।”
“পরিস্থিতির কারণে, সবকিছুর কারণে বিদায়টাও একটু অদ্ভুত ছিল। যাই হোক, আমি মনে করি ভক্তদের ভালোবাসা সবসময় থাকবে, আমি যা বলেছি সেই কারণে, আমরা যা কিছুর মধ্য দিয়ে গেছি, তার কারণে।”
মেসির কাছে বার্সেলোনা হয়ে উঠেছিল নিজের বাড়ির মতো। দুই দশকের পথচলায় ক্লাবটির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা, সর্বোচ্চ গোলসহ আরও অনেক রেকর্ড-কীর্তি গড়েছেন তিনি। ১০টি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ শিরোপা জিতেছেন অসংখ্য। ফুটবলের সবুজ আঙিনায় উপহার দিয়েছেন জাদুকরি অনেক মুহূর্ত। #

















