বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা কমার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার পরও বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরেনি।
মঙ্গলবার সকালেও শহরের বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, যা সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, শহরের নতুন বাজার, পুরাতন কাঁচাবাজার ও শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম না কমলে খুচরা পর্যায়ে কোনোভাবেই স্বস্তি ফিরবে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. সেলিম রেজা বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে যথেষ্ট আছে। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজারে সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে। এর প্রভাব পড়ছে পাইকারি বাজারে, যা সরাসরি খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
শিবগঞ্জের এক খুচরা বিক্রেতা শামীম উদ্দিন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৯৫-৯৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এত দামে কিনে আমরা ১০০-১১০ টাকার নিচে বিক্রি করতে পারছি না। ক্রেতারাও হতাশ, বিক্রিও কমে গেছে।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ এখন তাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অপরিহার্য উপকরণ। হঠাৎ দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে। গৃহিণী রোজি আক্তার বলেন, সপ্তাহখানেক আগেও ৬০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছি, এখন ১১০ টাকা কেজি। বাজারে গেলে বাজেট মেলানোই কঠিন হয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, দ্রুত যদি সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে সরবরাহ বাড়বে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে। অন্যথায় দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (অতিঃ) শাহনাজ পারভিন জানিয়েছেন, বাজার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে মনিটরিং জোরদার করা হলে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো সম্ভব হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাধারণ ক্রেতারা এখন একটাই প্রত্যাশা করছেন, দ্রুত বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম আবারও সাধ্যের মধ্যে আসুক। #

















