ঢাকা প্রতিনিধি:নির্বাচন কমিশন (ইসি) সভায় বক্তব্য পেশ করার সুযোগ না পাওয়ায় আজ সোমবার নিজের অপমানের কথা সংবাদ সম্মলনে তুলে ধরেন মাহবুব তালুকদার। ‘ব্যক্তিগত’ সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এমন সময় তিনি বিদেশ সফরে যাচ্ছেন, যখন বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় নির্বাচন কমিশনে দ্বিধা-বিভক্ত হওয়ার প্রশ্ন ওঠেছে!
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশীদারমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে কিছু প্রস্তাবনা শিরোনামে আমি আলোচনা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে তা উপস্থাপন করতে দেওয়া হয়নি। নিজস্ব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করতে না দেয়ায় আমি অপমানিত বোধ করেছি। ‘নোট অব ডিসেন্টে’ মাহবুব তালুকদার লিখেছেন, বাকস্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান প্রদত্ত আমার মৌলিক অধিকার। নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই আমার এই অধিকার খর্ব করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, এমতাবস্থায় অনন্যোপায় হয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের এরূপ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট প্রদান করছি এবং এর প্রতিবাদস্বরূপ কমিশনের সভা বর্জন করছি। তিনি যেন কমিশন সভায় প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করতে না পারেন, সে জন্য অপর তিনজন নির্বাচন কমিশনার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) অনুরোধ করেন। সিইসি ওই তিনজন কমিশনারের সঙ্গে একমত পোষণ করে বক্তব্য উপস্থাপন করতে দেননি।
তিনি ২০১৭ সালে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপের বিষয়গুলো কমিশন সভায় আলোচনার জন্য প্রস্তাব করেছিলেন।
গত ৩০ আগস্টের কমিশন সভাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করে বর্জন করেছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব।
নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কমিশন সভা বর্জন করে ইতোমধ্যে আলোচিত মাহবুব তালুকদার। এর মাঝেই খবর এলো তিনি আমেরিকা যাচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মো. শাহ আলম ইতোমধ্যে মাহবুব তালুকদারের বিদেশ যাওয়া চিঠি চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার, কেবিনেট সেক্রেটারি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সব দফতরে পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আগামী ২০ থেকে ৩০ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। এটা হবে তার ব্যক্তিগত সফর। এ সময় তিনি দেশীয় মুদ্রায় আর্থিক সুবিধা পাবেন। সফরে তিনি থাকবেন মেয়ে আইরিন মাহবুবের কাছে।চিঠিতে তার ফেরার সম্ভাব্য তারিখ বলা হয়েছে, ৩১ অক্টোবর।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.