কোটবাড়িতে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

 

কুমিল্লা ব্যুরো: কুমিল্লার কোটবাড়ি গন্ধমতি এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে আড়াই বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর কোটবাড়ি গন্ধমতি এলাকার দক্ষিণ বাগমারার প্রবাসী মামুন ভূঁইয়ার নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ইমরান হোসাইন জেলার চান্দিনা উপজেলার জিরবাইশ গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

ফারুক হোসেন পরিবার নিয়ে কোটবাড়ির দক্ষিণ বাগমারার সিটি কলেজের পিছনে ঝরিনা মঞ্জিলে থাকেন।

নিহত ইমরানের বাবা ফারুক হোসেন জানান, আমার স্ত্রী হালিমা বেগম প্রবাসী মামুন ভূঁইয়ার নির্মাণাধীন ভবনে কর্মরত শ্রমিকদের রান্নার কাজ করেন। সাথে প্রতিদিন শিশু ইমরানকেও নিয়ে যান। সোমবার বিকেলে শ্রমিকদের রান্না করতে যাওয়ার সময় সাথে শিশুটিকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর শিশু ইমরানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বহু খোঁজাখুজির পর সন্দেহ বশত ওই নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে সন্ধ্যায় ইমরানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, সেপটিক ট্যাংকটির ঢাকনা খোলা ছিল।

স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী মামুন ভূঁইয়ার নির্মাণাধীন ভবনে নির্মাণ কাজ দেখাশুনা করেন শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এছাড়াও ওই ভবনের নির্মাণ কাজ নিয়ে পাশ্ববর্তীদের অনেক অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় জন প্রতিনিধি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজল খান জানান, শিশুটির মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খোলা থাকায় শিশুটি খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়।

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদ আহম্মেদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে। শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খেলতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে নিহত হয়েছে।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.