৪ বলে ৪ উইকেট নিয়ে নায়ক ইশিমুয়ে

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: গতকাল পর্যন্তও ক্রিকেট দুনিয়া তাকে চিনত না। অখ্যাত সেই হেনরিয়েট ইশিমুয়েই ৪ বলের ভেল্কি দেখিয়ে হয়ে গেলেন বিখ্যাত। গড়েছেন ৪ বলে ৪ উইকেট নেওয়ার অবিশ্বাস্য কীর্তি।
গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় এই কীর্তি গড়েছেন রুয়ান্ডার পেসার হেনরিয়েট ইশিমুয়ে। তার দল রুয়ান্ডাও পেয়েছে অবিস্মরণীয় জয়।
জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে ৩৯ রানে। রুয়ান্ডার ১১৯/৮-এর জবাবে জিম্বাবুয়ে অলআউট ৮০ রানে। ক্রিকেটের কোনো বিশ্বকাপে এটাই রুয়ান্ডার প্রথম জয়।
না, রুয়ান্ডার ঐতিহাসিক জয়ে ইশিমুয়ের কীর্তির খুব বেশি ভূমিকা নেই। বরং তিনি যখন নিজের শেষ ওভারটি করতে আসেন, তার আগেই রুয়ান্ডার জয় এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায়।
কারণ, ইনিংসের ১৯তম এবং নিজের চতুর্থ ওভারটি যখন করতে আসেন তিনি, জিম্বাবুয়ের দরকার তখন ১২ বলে ৪০ রান! মানে রুয়ান্ডার জয় প্রায় নিশ্চিত। ঠিক এই সময়েই বল হাতে অগ্নিমূর্তি হয়ে উঠেন ইশিমুয়ে। ৪ বলে ৪ উইকেট নিয়ে গুটিয়ে দেন জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
দলের জয়ে বড় ভূমিকা না রাখলেও ৪ বলে ৪ উইকেট, ক্রিকেটে সাধারণ কোনো ঘটনা না। এই কীর্তিটাকে অস্ট্রেলিয়ায় কখনো কখনো ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন কুদজাই চিগুরাকে, দ্বিতীয় বলে অলিন্ডার চেয়ারকে এবিডব্লুও, পরের দুই বলে আবার চিপো মুয়ো ও ফেইথকে বোল্ড করেন।
জিম্বাবুয়ের শেষ চার ব্যাটসম্যানকেই ‘গোল্ডেন ডাক’ উপহার দিয়েছেন ইশিমুয়ে। ম্যাচ শেষে অবিশ্বাস্য কীর্তির প্রতিক্রিয়ায় রুয়ান্ডার ১৯ বছর ৯৫ দিন বয়সি তরুণী বলেন, ‘চারটি ডেলিভারিই ছিল ইয়র্কার। এই ডেলিভারিটি নিয়ে আমি প্রচুর অনুশীলন করেছি।’
চলমান টুর্নামেন্টে এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক নয়। টুর্নামেন্টে প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেছেন স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিসন ল্যান্ডসম্যান, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে ইশিমুয়ে ছাপিয়ে গেছেন তাকে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.