২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকাল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হওয়ার পর অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্য শুরু করেন। এ বাজেট বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ সম্পন্ন হবে।

বাজেট বক্তব্যের কিছু অংশ তিনি পঠিত বলে গণ্য করার অনুরোধ করেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া তিনি স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাজেট বক্তব্যের বিভিন্ন অংশ ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপস্থাপন করছেন।

বাজেট পেশের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী সংসদ কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তবে শারীরিকভাবে অসুস্থ বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ অধিবেশনে যোগ দেননি। তবে সিডিউল অনুযায়ী যোগ দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

এর আগে প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বাজেট অনুমোদনের জন্য দুপুরে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়।

করোনার নাজুক পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি দেশের ৪৯তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপন।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ‘সমৃদ্ধ আগামীতে’ পৌঁছানের লক্ষ্য স্থির করে যে পথযাত্রা বাংলাদেশ শুরু করেছিল এক ভাইরাসের প্রবল গ্রাসে তা থমকে গেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ভাবতে হয়েছে আগের উন্নয়ন দর্শনের বাজেটের চেয়ে ভিন্নভাবে। এখন তার প্রধান লক্ষ্য অর্থনীতির ক্ষত সারিয়ে তোলা। বছরের ব্যয়ের খরচ ও জমার ফর্দ সাজাতে গিয়ে তাকে মাথায় রাখতে হয়েছে করোনাকালে স্বাস্থ্য খাত যেন মহামারি সামাল দেয়ার সক্ষমতা পায়, উৎপাদন যেখানে বড় ধাক্কা খেয়েছে, সেখানে কৃষক যেন অন্তত ফসল ফলাতে পারেন, ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে খাদ্য সংকট যেন না হয়; হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষকে যেন সামাজিক নিরাপত্তা দেয়া যায়, বেকারত্ব যেন সমাজকে নতুন সংকটের পথে নিয়ে না যেতে পারে।

গত আট অর্থবছরের বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এটিকে বাড়িয়ে তখন আড়াই লক্ষ টাকা করা হয়। এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২ লক্ষ টাকা ও ২০১৩-১৪ তে ছিল ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.