১৯৫০ সাল থেকেই এই দিনটি প্রজাতন্ত্র বা সাধারণতন্ত্র দিসব হিসেবে পালিত হয় (ভিডিও)

বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি: বুধবার অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি (26th January) প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day)। সাধারণতন্ত্র দিবসের অন্যতম আকর্ষণ হল দিল্লির রাজপথের কুচকাওয়াজ ( Republic Day Parade 2022)। যা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলবে।রাজপথের প্যারেড রাষ্ট্রপতি ভবন হয়ে ইন্ডিয়া গেট (India Gate) পর্যন্ত যাবে।
শুধু দিল্লি নয় দেশের বিভিন্ন স্থানেই প্যারেড বা কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শেষ হবে ২৯ জানুয়ারি। এই বিশেষ বিশেষ দিনটি বা সপ্তাহটি নানাভাবে দেশের মানুষ পালন করে থাকে।
কিন্তু এই বিশেষ দিনটি নিয়ে যদি কোনও বক্তৃতা বা প্রবন্ধ লিখতে বলা হয় স্কুল পড়ুয়াদের – তাহলে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছুই নেই। মাত্র এক মিনিটে দেখে নিন কী কী লেখা যেতে পারে। বা কোনও বক্তৃতা দিতে হলে কী কী বলা যেতে পারে- তারই খসড়া দেওয়া হল নিচে।
ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই চলেছিল স্বাধীনতা সংগ্রাম। ভারত স্বাধীন হয়েছিল ১৫ অগাস্ট, ১৯৪৭ সালে। এর পরই একটি খসড়া কমিটি গঠন করে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। যার চেয়ারম্যান ছিলেন ডক্টর বিআর আম্বেদকর। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতীয় গণপরিষদ গৃহীত হয়েছিল। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারিতা কার্যকর হয়েছিল। সেই থেকেই এই দিনটি প্রজাতন্ত্র বা সাধারণতন্ত্র দিসব হিসেবে পালিত
হয়। প্রজাতন্ত্র দিবস একটি জাতীয় ছুটির দিন। এই দিন সব রকম সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকে। তবে অন্যান্য ছুটির দিনের মতই চালু থাকে দেশের জরুরি পরিষেবা। এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে দেশবাসী একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়। সম্প্রীতি ও ভাতৃত্বের বার্তা দেয়। কারণ আমাদের দেশের সংবিধানেই লেখা রয়েছে সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা।
২৬ জানুয়ারি এই দিনটি ভারতবাসীর কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আজ থেকে ৭২ বছর আগে এই বিশেষ দিনেই কার্যকর হয়েছিল ভারতের সংবিধান। তাই সাধারণতন্ত্র দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস ভারতের জনগণের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ভারত ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হলেও দেশের নিজস্ব কোনও সংবিধান ছিল না।
অনেক আলোচনা, পর্যালোচনা, বিবেচনার পর ডক্টর বিআর আম্বেদকরের নেতৃত্ব একটি কমিটি ভারতের সংবিধানের একটি খসড়া জমা দিয়েছিল। কমিটি গঠন হয়েছিল ২৬ নভেম্বর ১৯৪৯ সালে। দুই মাস পরে ২৬ জানুয়ারি ১৯৫৯ সালে সেই খসড়াই সংবিধান হিসেবে কার্যকর হয়েছিল।
ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এই দেশের নাগরিকরা দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নেতা নির্বাচন করে। অনেক উন্নয়ন, বিকাশ হলেও দেশটি বর্তমানে দুষণ, দারিদ্র্য, বেকারত্ব- এই সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সমস্যা সমাধানে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও প্রয়োজন। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ যদি সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে তাহলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.