হবিগঞ্জে চিকিৎসা সেবার নামে চলছে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে চিকিৎসা’সেবার নামে চলছে হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের রম’রমা ব্যবসা। শহর থেকে গ্রাম সব পর্যায়েই দালাল কেন্দ্রীক এসব কথিত হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি।
অ’ভিযোগ রয়েছে, এসব হাসপাতা’লে রোগীদের কাছ থেকে অ’তিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া টাকার বিনিময়ে ভূয়া এক্সরে রিপোর্ট দিয়ে থাকেন এসব প্রতিষ্ঠান। গত ২৮ জানুয়ারি ভূয়া এক্সরে রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট জালিয়াতির অ’ভিযোগে শফিকুল ইস’লাম শফিক নামের একজনকে আাট’ক করেছে সদর থা’না পু’লিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জে ১৩১টি হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে শুধু ৮৮টি চিকিৎসা কেন্দ্রের লাইসেন্স রয়েছে। বাকি ৪৩টির নেই বৈধ কাগজপত্র। এর মধ্যে হবিগঞ্জ সদরেই রয়েছে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান বাকি আট উপজে’লায় রয়েছে ৭৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার।
এসব চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর সিংহ ভাগই দালাল নির্ভরশীল। দালালরা গ্রাম থেকে আসা সহ’জ সরল রোগীদের তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে ওত পেতে বসে থাকেন। পরে তাদের কাছ থেকে চিকিৎসার নামে আদায় করা হয় অ’তিরিক্ত টাকা।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ তিন-চার বছর আগেই শেষ হয়েছে, কেউ তা নবায়ন পর্যন্ত করেনি। তবু সেসব হাসপাতাল, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার চলছে প্রকাশ্যে, সবার চোখের সামনে। তাদের চিকিৎসা বাণিজ্যও চলছে পাল্লা দিয়েই। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোন নিবন্ধন না নিয়ে কোথাও কোথাও শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়েও অসাধু ব্যবসায়ীরা চিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ লাইসেন্সের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদন করেই যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতাল, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গড়ে তুলছেন।
স্ত্রী’র সিজার অ’পারেশন করাতে গত শুক্রবার হবিগঞ্জ আধুনিক জে’লা সদর হাসপাতা’লে আসেন আহমেদ হোসেন। তিনি হাসপাতা’লের বারান্দায় আসামাত্রই এক দালাল তাকে ভালো চিকিৎসা করিয়ে দেবেন বলে একটি প্রাইভেট হাসপাতা’লে নিয়ে যান।
হোসেন বলেন, ওই হাসপাতা’লে ভর্তি করার পরের দিন সিজারে আমা’র স্ত্রী’ পুত্র সন্তান জন্ম দেন। এরপর দিন আমাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে সঙ্গে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আমা’র বিল ধ’রা হয় ৪৭ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনেক ঝগড়া করার পরে বাধ্য হয়ে টাকাগুলো দিতে হয়েছে।
ডেপুটি সিভিল ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বল বিটিসি নিউজকে বলেন, যাদের কাগজপত্র নেই শিগগির অ’ভিযান চালিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.