স্বীকৃতি পেতে তালেবানকে কী করতে হবে, জানালেন হামিদ কারজাই

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য ইসলামিক আমিরাতের নিজ দেশের মধ্যে বৈধতা অর্জন করতে হবে।
মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে (ভিওএ) দেওয়া সাক্ষাৎকারে হামিদ কারজাই এ কথা বলেন। 
আফগানিস্তানের সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতীয় বৈধতা নির্বাচন অথবা সংসদ অধিবেশনের মাধ্যমে অর্জন করতে হবে।
কারজাই আরও বলেন, ইসলামিক আমিরাতের দেশ পরিচালনার জন্য একটি সংবিধান থাকা জরুরি।
সাবেক এ আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতীয় বৈধতা এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অত্যন্ত জরুরি। সংসদ কার্যকর অথবা সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে জাতীয় বৈধতা অর্জনের পথ সুগম করতে হবে। নির্বাচন অথবা সংসদ অধিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় বৈধতা অর্জন করতে হবে।
কারজাই আরও বলেন, পাকিস্তানের উচিত আফগানিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নিয়ম ও নীতিমালার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলা।
‘পাকিস্তান বর্তমানে এমনভাবে কথা বলছে যেন, দেশটি আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে। না, এটি কোনোভাবেই ঠিক আচরণ নয়। তারা কখনও আফগানিস্তানের বা আফগান জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না’, যোগ করেন কারজাই।
সম্প্রতি তালেবানের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আফগান জনগণের সমর্থন প্রমাণ করছে যে, ইসলামিক আমিরাত দেশের অভ্যন্তরে বৈধতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে নির্বাচন এবং সংসদ অধিবেশন আয়োজন পূর্বের সরকারের ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছুই নয়।
জাবিহুল্লা বলেন, ইসলামিক আমিরাতের বৈধতা রয়েছে এবং এর প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে। নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ ইতিবাচক ফল আনতে পারেনি। সাবেক সরকার এ পন্থাগুলো ব্যবহার করে দেখেছে, কিন্তু তাদের বৈধতা ছিল না।
আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশ্লেষক আহমাদ খান আন্দার বলেন, বর্তমানে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কোনো দেশের সরকার স্বীকৃতি দেয়নি, যা দেশের জনগণের জন্য খুবই দুঃখের খবর। কেননা এখন আফগানিস্তানের জনগণ  অভাবের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচিত তালেবান সরকারের (ইসলামিক আমিরাত) সঙ্গে কাজ করা। (সূত্র: টোলো নিউজ)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.