স্বর্ণের বার মেরে দেয়ার অভিযোগ তুলে মারপিটের শিকার দামুড়হুদার মুন্সিপুরের তারিক

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের মুন্সিপুরের গ্রামের তারিককে স্বর্ণের বার আত্নসাৎ এর অভিযোগ তুলে মারপিটসহ তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে কুতুবপুর গ্রামের চোরাকারবারীর হোতা আনছার গং।
অভিযোগে জানাগেছে, মুন্সিপুর গ্রামের কুতুব উদ্দিনের ছেলে যুবদল নেতা তারিককে ডেকে নিয়ে ২০ পিচ স্বর্ণের বার আত্নসাৎ করেছে বলে অভিযোগ তুলে কুতুবপুর গ্রামে মাঝপাড়ায় কুতুবপুর গ্রামের সদর উদ্দিনের ছেলে চোরাকারবারি আনছার আলী ও মুনছুর আলী সহ তার পরিবারের লোকজন।
এবিষয়ে তারিক অভিযোগ করে টিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমি গতকাল সোমবার সকাল ৯ টার দিকে বাড়িতে ছিলাম। এসময় কুতুবপুর গ্রামের সাইদ বিশ্বাস আমাকে ফোনে তার বাড়িতে আসতে বলে।
আমি তার কথামত তার বাড়িতে আসার জন্য রওনা হয়। এসময় তার বাড়ির পাশে অবস্থান করলে চোরাকারবারি আনছার ও মুনছুর আলী সহ তার পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে। আর বলতে থাকে আমাদের স্বর্ণ তুই মেরে দিয়েছি। তোর কথা বলেছে যে স্বর্ণ আদান প্রদান করে জন হিসেবে। তার বাড়ি কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের আকবার আলীর ছেলে তাজ।
এসময় তাজের সাথে আমাকে কথা বলতে বললে আমি তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলি। সে আমাকে কান্নাকাটি করে বলে ভাই এরা আমাকে ঢাকাতে ধরে নিয়ে এসেছে।
আমাকে আপনার কথা বলতে বলছে যে আপনি স্বর্ণ মেরেছেন। এরপর আবারো আনছার বাহিনি আমাকে মারপিট করে আহত করে মোবাইল ছিনিয়ে নেই। পরে আমার ব্যবহৃত এ্যাপাচি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এসময় সাইদ বিশ্বাস ও স্থানীয়রা আমাকে প্রাণে রক্ষা করে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেই। আমি এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এবিষয়ে আনছারের বাড়িতে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
পরে আনছারের বাবা সদর উদ্দিন সাংবাদিকের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এসময় তিনি বলেন তারিককে আমি হলে মেরে ফেলতাম। তার মোটরসাইকেল আগুনে পুড়ে দিতাম।
এবিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল টিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমি চুয়াডাঙ্গাতে মিটিং এ ছিলাম। ঘটনাস্থলে এএসআই রওশন আলীকে পাঠিয়ে ছিলাম।
এবিষয়ে রওশন আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মুন্সিপুর গ্রামের তারিককে কুতুবপুর গ্রামের আনছার আলী তার দলবল নিয়ে মারপিক করেছে। তারিক নাকি আনছারের স্বর্ণের বার মেরে দিয়েছে এই অভিযোগে আনছার মারপিক করে তার মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে বলে তারিক অভিযোগ করেছে।
ঘটনাস্থলে দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার বাকি বিল্লাহ ও এসআই আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.