সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের সরকারী বাহিনীর ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৭

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের সরকারী বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। গত মঙ্গলবার (২৬ মে) এই হামলায় দেশটির সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফের আত্মীয়সহ অন্তত ৭ সেনাসদস্য নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে গতকাল বুধবার (২৭ মে) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদন এসব তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত ২৪ এপ্রিল দেশটিতে হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের এক মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার এ হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি হুথিরা।

দেশটির সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর আট সদস্য নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, হুথি বিদ্রোহীরা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে একটি মারিব প্রদেশে সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে ও অন্যটি সামরিক বাহিনীর এক ঘাঁটিতে আঘাত করেছে।

অন্যদিকে, দেশটির সেনাবাহিনীর অপর তিনটি সূত্র ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত সাতজন মারা গেছেন। তারা বলেন, হামলায় চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল সগীর বিন আজিজ বেঁচে গেছেন। তবে তার এক ছেলে এবং ভাতিজাসহ হামলায় সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এই তথ্য টুইটারে নিশ্চিত করেছেন জেনারেল সগীরের অপর এক ছেলে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে হুথি বিদ্রোহীরা। হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল-হাদি। ২০১৫ সালের মার্চের দিকে ইয়েমেনি এই প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

তখন থেকে ইয়েমেনে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে দুই পক্ষের যুদ্ধে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। দীর্ঘ এই যুদ্ধের কবলে পড়ে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে ইয়েমেন। জাতিসংঘ ইয়েমেন পরিস্থিতিকে বিশ্বে সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করেছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.