সোনালী সংবাদ সম্পাদক লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে তোলা গুরুতর অভিযোগের তদন্ত চাই

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:স্থানীয় দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দৃষ্টতাপূর্ণ রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য রাখা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত বৃত্তির টাকা তার পত্রিকার ৮ জন সাংবাদিককে দিয়ে উত্তোলন করে আত্মসাতের যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে রাজশাহী প্রেসক্লাব। রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা এক যুক্ত বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এরআগেও ওই সম্পাদক তার পত্রিকাকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ঈর্ষা-প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে রাজশাহী প্রেসক্লাব বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জননেতা মাদার বখশ্’র নাতী বঙ্গবন্ধুর বাকশার সরকারের রাজশাহী জেলা গভর্নর ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে কারাগার থেকে নির্বাচিত তৎকালীন চারঘাট-লালপুর আসনের সাংসদ জননেতা আতাউর রহমানের সন্তান রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমানকে নিয়ে কুৎসামূলক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। সে সময় প্রেসক্লাব সভাপতির উদারতা কারণে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।
তবে বর্তমানে যে গুরুতর অভিযোগ এসেছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধীও বটে। এটা কোনভাবে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। অবশ্যই অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্ত করতে হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে প্রচলিত আইনে শাস্তির দাবি রাখে। এছাড়া জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ পৃথক বিবৃতিতে একই দাবি করে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৭ মে তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী, প্রেস ইনস্টিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) মহাপরিচালক ও রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া স্মারকলিপিতে স্থনীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা মো. শরিফ উদ্দীন লিয়াকত আলীর নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে শাস্তি দাবি করেছে। অভিযোগকারী ওই আওয়ামী লীগ নেতা মহানগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এই ঘটনায় রাজশাহীতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, স্থানীয় গণমাধ্যম দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের মতাদর্শের চিহ্নিত একজন ব্যক্তি। নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড ও অনিয়মের সঙ্গে সে জড়িত। ২০০৩ সালে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ‘খুনী মুজিবুর রহমানের মরনোত্তর বিচার চাই’- এমন বক্তব্য দেয় সে। সে সময় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা তার এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং এমন স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী মহানগরের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিরলর (জামুকা) সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান। প্রতিবাদের ফলে তোপের মুখে পড়ে উপস্থিত সুজন সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এছাড়া লিয়াকত আলী রাজশাহীর পবা উপজেলার একটি স্কুলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত বৃত্তির টাকা তার পত্রিকার ৮ জন সাংবাদিককে দিয়ে উত্তোলন করেছে। সরকার থেকে গরীব ছাত্রদের জন্য দেয়া এ টাকা পত্রিকার সাংবাদিকদের উত্তোলন করা শুধু নিন্দনীয় নয়, গুরুতর অপরাধও বটে। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের আমলে এ ঘটনা কীভাবে ঘটলো তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে মো. শরিফ উদ্দীন বলেন, এসবকিছু ছাড়াও দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকা সাংবাদিকদের নায্য বেতনভাতাদি না দিয়েও বিজ্ঞাপনসহ সকল সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে লিয়াকত আলী। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক বঙ্গবন্ধুকে ‘খুনী’ বলা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি। 

সংবাদ প্রেরক রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.