সৈয়দপুর কাজী নিয়োগের নথি গায়েব

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে কাজী নিয়োগের নথি গায়েব হয়ে গেছে। অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব-রেজিস্ট্রার সহ কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীই কেউই খুঁজে পাচ্ছেন না নথিটি। দীর্ঘ প্রায় ১৫ দিন যাবত নথিটি সম্বন্ধে কোন তথ্য দিতে পারছেন না তারা। তবে একটি সূত্রের অভিযোগ অনিয়মের মাধ্যমে কাজী নিয়োগ সংক্রান্ত এ নথি যাতে কোনভাবেই প্রকাশ না হয়ে পড়ে সেজন্য গোপন করার কৌশল হিসেবে নথি গায়েবের নাটক করা হচ্ছে।

সৈয়দপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে সৈয়দপুর পৌর এলাকায় ৬ টি ওয়ার্ডে কাজীর পদ শুন্য হওয়ায় নতুন করে ৩ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এগুলো হলো- ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে জিয়াউর রহমান, ৬ ও ৯ নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলাম এবং ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডে আশরাফুল আলম শাহ। নতুন কাজী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিশেষ করে গেজেট অনুযায়ী যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন তার আশে পাশে শুন্য স্থানে কাজী হিসেবে নিয়োগ পাবেন এবং সে ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রার্থীর বয়স নিয়োগের সময় অনুর্ধ ৩৯ বছর হতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ায় কোন নিয়মই মানা হয়নি। এ সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাই বাছাই করার লক্ষ্যে সৈয়দপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নথি দেখার প্রয়োজনে তলব করা হলে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ মিজানুর রহমান কোন তথ্যই দিতে পারেন নি।

এমতবস্থায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী আব্দুর রউফ বিটিসি নিউজকে জানান, নথিটি ইতোপূর্বের সাব-রেজিস্ট্রার রাম জীবন কুন্ডু’র কাছে আছে। যিনি বর্তমানে নীলফামারী জেলার নীলফামারী জেলার সাব-রেজিস্ট্রার পদে নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি ওই সময় ডিমলা অফিসের পাশাপাশি অত্র অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। একারণে নথিটি তার কাছেই রয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে রাম জীবন কুন্ডুর সাথে মুঠোফোনে ০১৭১১৩০৬৫৭৭ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিটিসি নিউজকে জানান, নথিটি আমার বাসায় আছে। যে অফিসে বর্তমানে আপনি কোন দায়িত্বে নেই সে অফিসের নথি আপনার বাসায় কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সৈয়দপুরের জামাতা। আমার ব্যাপারে কোন কিছু বলার আগে ভেবে চিন্তে বলবেন।

একটি সূত্র মতে, ওই সময় রাম জীবন কুন্ডু দায়িত্বে থাকাকালীন উল্লেখিত ৩ জন কাজীকে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। যে কারণে নথিটি যাতে পরবর্তীতে কারো হাতে না পড়ে সেজন্য তিনি তা নিজের কাছেই রেখেছেন। কারণ এক্ষেত্রে মোটা অংকের অর্থের লেন দেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও তিনি এখানে কর্মরত থাকার সময়ে জমি রেজিস্ট্রির কাজ অর্থ ছাড়া করা সম্ভব হতোনা বলেও জমির মালিক ও দলিল লেখকরা অভিযোগ করেছেন। অফিস সহকারী আব্দুর রউফ এর যোগসাজশে তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রার রাম জীবন কুন্ডু এসব অনিয়ম করেছেন।

এ ব্যাপারে বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। কাজী নিয়োগ সংক্রান্ত কোন তথ্য আমার জানা নেই। এ সংক্রান্ত নথিও আমার অফিসে নেই।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নীলফামারী প্রতিনিধি এম কে আনোয়ার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.