সুর বেঁধে দিলেন বিমান ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু

(সুর বেঁধে দিলেন বিমান ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু–ছবি: প্রতিনিধির)
কলকাতা প্রতিনিধি: বামেদের হাসি চওড়া করল মানুষের ভিড়। সভাস্থল থেকেই নির্ণীত হল বাংলার রাজনীতির দুটো পথ। একদিকে বিজেপি-তৃণমূল, অন্য দিকে বাকি সবাই।
এই সুরটা সভার শুরুতে বেঁধে দিলেন বিমান ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। আর এখান থেকেই আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হল সংযুক্ত মোর্চার। কারণ সেকুলার ফ্রন্টও জানিয়ে দিল শেষমেশ ৩০ টি আসনে রফা হয়েছে তাদের সঙ্গে বামেদের।
বামেরা পাহাড় থেকে সমুদ্র, সব জেলার সব বুথ থেকে অন্তত দশজন করে সমর্থককে ব্রিগেডে আনতে চেয়েছিলেন। অন্য দিকে লোক আনতে মাঠে নামে কংগ্রেস সেক্যুলার ফ্রন্ট, কংগ্রেসও।
সকাল হতেই মাঠ থিকথিক করতে থাকে কালো মাথায়। লাখো মানুষের ভিড় দেখে অধীর চৌধুরীর মতো বর্ষীয়ান নেতাকেও বলতে হয়, এ জিনিস জীবনে দেখিনি। যারা বলে আমাদের সভা দূরবীন দিয়ে দেখতে হয়, আমি বলব দূত পাঠিয়ে যেনে নিন, কত মানুষ এসছেন।
সমাবেশের শুরুতেই তাই তৃপ্ত বিমান বসু বলেন, অভূতপূর্ব সমাবেশ। এখানে বামপন্থীরা আছে, জাতীয় কংগ্রেস আছে. ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট আছে। সহযোগী অন্যান্য দলেরাও আছে। এমন সমাবেশ অতীতে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড কখনও দেখেনি।
কথায় কথায় তিনি পরিষ্কার করে দেন, নতুন একটি ঘরাণা বা মঞ্চের জন্ম হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। যেখানে বিজেপি-তৃণমূলকে একজায়গায় রেখে বাকি সব বিরোধিরা আক্রম শানাবে। দ্ব্যার্থহীন বিমান বসুর যুক্তি ছিল, বিজেপি তৃণমূল গণতন্ত্র হত্যা করছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংস করছে।
পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, আজকের পর থেকে এভাবে বলা যায়, বামপন্থী, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট এক দিকে, অন্য দিকে তৃণমূল বিজেপি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেসকে দোসর বলেন। জগাই মাধাই গদাই কটাক্ষের সঙ্গে রাজ্যবাসী পরিচিত হয়ে গিয়েছে এতদিনে। এবার নতুন সমীকরণ তৈরি করল ২১-এর প্রথম ব্রিগেড। বামেদের চওড়া হাসির মধ্যেও একটাই দোলাচল, লোকসভা ভোটের মতো ভোটাররা যেন নিরাশ না করে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.