বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘বিস্ফোরণ ও আগুনে মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪১ জনের মরদেহ চমেক হাসপাতালে রাখা আছে। বাকি আট জনের মরদেহ বিভিন্ন হাসপাতালে থাকতে পারে। এর মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাকিদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় সংস্থাটির ফরেনসিক বিভাগ নিহতদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে। পরিচয় শনাক্তের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
এদিকে, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহে নেতৃত্বে দিচ্ছেন চট্টগ্রাম সিআইডির এডিশনাল এসপি জাহাঙ্গীর আলম।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘যেসব স্বজন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ আছে দাবি করছেন, তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিখোঁজের বাবা-মা, ভাই-বোন, কিংবা সন্তানদের মধ্যে যে কোনও দুই জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, সেগুলোর নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।’
এদিকে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে সকাল ১০টায় চমেক হাসপাতালে আসেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক।
এ সময় ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের ডিএনএ পরীক্ষার পর হস্তান্তর করা হবে। তবে ডিএনএ রিপোর্ট পেতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। ততদিন এসব মরদেহ মর্গের ফ্রিজারে রাখা হবে।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.