সিংড়ায় ৪১ কেজি ধানে মণ, ক্ষুব্ধ ও হতাশ কৃষকরা


নাটোর প্রতিনিধি: গত বছর আকস্মিক বন্যায় চলনবিল অঞ্চলের ফসল ভালো হয়নি, এ বছরও ধানের ফলন কম, দাম কম। ধান কাটার শ্রমিক খরচ বেশি তাও আবার শ্রমিক পাওয়া দূর্লভ।

সবকিছু মিলে ধান কাটার সময়টা কৃষকদের জন্য উৎসব হলেও এ বছর তার বিপরীত। উৎসবের আমেজ নেই কৃষকদের মাঝে, আছে শুধু শঙ্কা ও দুশ্চিন্তা।

দেশের প্রচলিত ওজন পরিমাপের নিয়মানুযায়ী ৪০ কেজিতে এক মণ। নাটোরের সিংড়া উপজেলার ধান ব্যবসায়ীরা ওজনের এই পরিমাপ মানেন না। তাঁরা কৃষকদের কাছ থেকে এক মণে ৪১ কেজি ধান আদায় করছেন।

এভাবে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ঠকাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মণ প্রতি এক কেজি ধান বেশি আদায়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ কৃষকরা।

 

জানা গেছে, সিংড়া ধানের হাট, উপজেলার বিলদহর ধানের হাট ও উপজেলা ব্যাপী এভাবে কৃষকদের জিম্মি করে ধান কিনছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা।

সপ্তাহে দুদিন এসব হাটে হাজার হাজার মণ ধান বেচাকেনা হয়। এ সুযোগে ব্যবসায়ী চক্রটি কৃষকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ধান হাতিয়ে নিলেও যেন দেখার কেউ নেই!

উপজেলার কালিনগর গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল ওয়েট মেশিনে ওজন দিয়ে ৪০ কেজির জায়গায় ৪১ কেজিতে মণ হিসেবে ধান কিনছে। এতে করে কৃষকরা চরমভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

কাউসার নামে ডাহিয়া গ্রামের একজন কৃষক বিটিসি নিউজকে জানান, এ বছর এমনিইে ধানের ফলন ও দাম দুটোই কম, তার অপর আবার ৪১ কেজিতে মণ। ফলে এলাকার অসহায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে মণে এক কেজি করে বেশি দিয়ে বিক্রি করছেন তাদের কষ্টার্জিত ফসল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বিটিসি নিউজকে বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.