সান্তাহারে পাওয়া ৫ মাসের শিশুপুত্রের পরিচয় ৮দিনেও মিলেনি

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘির সান্তাহার রেলওয়ে থানার নিকট পাওয়া আনুমানিক ৫ মাসের বয়সের এক শিশুপুত্র ট্রেনে কাটা লাশ বহনকারি এরশাদ আলীর নিকট থাকা শিশুর পরিচয় ৮দিনেও মিলেনি।
আজ বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) বিকেলে খবর পেয়ে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার শ্রাবণী রায় শিশুপুত্র ও এরশাদ আলী ও তার স্ত্রী সখিনাকে হাজির করে শিশু সন্তানকে তার হেফাজতে রেখে সান্তাহার পৌর মেয়রের নজরদারীতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে শিশুপুত্রটি কোন পরিবারের চুরি যাওয়া কি না তা নিয়েও স্থানীয় ও প্রশাসনের সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি
এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি করেছে।
জানাযায়, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আটগ্রামের লছির প্রামানিকে ছেলে এরশাদ আলী (৩৫) সান্তাহার পশ্চিম লকু কলেনাী এলাকার একটি বাসায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী গাইবান্দা সদরের তুলশিহাট এলাকার সকুর মেয়েকে সখিনাকে নিয়ে বসবাস করেন।
এরশাদ আলী ভাংড়ি ব্যবসার আড়ালে ট্রেনের লাশ বহন করে। এরশাদ আলী জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় সান্তাহার রেলওয়ে থানার পূর্ভ পাশে মাটিতে শিশুটিকে কুড়িয়ে পায়। এরপর রেলওয়ে কানার ওসিকে জানিয়ে
নিজের কাছে রেখে লালন পালন করে।
এদিকে শিশুটি চুরি করা এমন সন্দেহে এলাকার রাশেদ নামের এক ব্যক্তি আজ বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) সকালে ৩৩৩ নম্বররে ফোন করে বিষয়টি জানান ও আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শ্বরনাপন্ন হন। বিকেলে এরশাদ আলী তার স্ত্রী সখিনা ওই শিশুকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট হাজির করে পুলিশ। এরপর এরশাদ আলী ও তার স্ত্রী সখিনাকে জিজ্ঞাসাবাদে শিশুর পরিচয় ও কুড়িয়ে পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শাকিউল আজম বিটিসি নিউজকে জানায়, শিশু পাওয়ার পর এরমাদের হেফাজতে রয়েছে। তবে জিডি করা হযনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় বিটিসি নিউজকে জানান, ৫ মাসের বয়সের শিশুকে কোন মা এ ভাবে ফেলে রেখে যাওয়াটা সন্দেহজনক। শিশুর পরিচয় বা কোন ওয়ারিশ সনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত ওই দম্পতিতর হেফাজতে রেখে সান্তাহার পৌর মেয়রকে নজরদারি ও দেখভালের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.