সাজা ভোগের পর ২৫ বাংলাদেশীকে ফেরত দিল ভারত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে সাজা ভোগের পর পঁচিশ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। বৈধ পাসপোর্ট থাকলেও পঁচিশ বাংলাদেশীকে তিন মাস ২৭ দিন সাজা ভোগ করতে হয়। আজ বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বাংলাদেশী ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট তাদেরকে হস্তান্তর করে।
জানা গেছে, বাংলাদেশী বৈধ পার্সপোর্ট ও ভিসা নিয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার ২৬ নাগরিক ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকার আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যান।
করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে দ্বিতীয় লকডাউন ঘোষণা হলে গত ০২ মে রির্জাভ মিনিবাসে করে আসাম রাজ্যের জোরহাট জেলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের চেংরাবান্ধা চেকপোস্ট হয়ে বাংলাদেশে ফেরার জন্য উদ্যোগ নেন  ওই ব্যক্তিরা। ফেরার পথে ৩ মে সকালে ভারতের বাহালপুর এলাকার ধুবড়ি জেলা পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
আটকের পর ৫ মে পুলিশ ভিসা শর্ত ভঙ্গের মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠায়। জেলে থাকাকালীন ১ জুলাই বকুল মিয়া নামে এক বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়। ৪ জুলাই মৃত ব্যক্তির লাশ বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ফেরত দেয় ভারত।
আটক বাংলাদেশীদের মুক্তির ব্যাপারে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন মানবাধিকারকর্মীগণ উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে ও ভারতে দুইজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়।
আইনজীবীরা আদালতের স্মরণাপন্ন হলে ধুবরী জেলার বিলাসীপাড়া মহকুমার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জতিরুপা হালৈর আদালত গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় ২৫ বাংলাদেশীকে মুক্তির আদেশ দেয়। মুক্তি পেয়ে ২৫ বাংলাদেশী ভারতের চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেন হয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ভারতীয় পুলিশ ২৫ বাংলাদেশীকে আমাদের নিকট হস্তান্তর করে। তারা এখন তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.