সচ্ছলতা এসেছে পাঁচশতাধিক পরিবারে আদমদীঘির ঋষি পল্লীর বাঁশ-বেত সামগ্রী যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির সান্দিড়া ঋষিপল্লীতে পাঁচ’শতাধিক পরিবার নারিকেল গাছের পাতার খিলেল, বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরী দোলনা, র‌্যাক, মোরা, ডালি, ঝুরি, কুলা, চালন, কাঠা এবং ঝাড়–ুসহ প্রভৃতি জাতের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে সংসারে সাচ্ছন্দ এনেছে।

কাঁচা মালের সংকট এবং বাজারে অপ্রতুলতা থাকা সত্বেও এ পেশায় নিয়োজিত বাঁশ বেতের সমাগ্রী তৈরীর অনেক কারিগর এখন খেজুর গাছের পাতায় ঝাঁড়– তৈরী করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। পরিবার নিয়ে তাদের দিন কাটছে সুখ-সাচ্ছন্দে।

নারিকেল গাছের পাতার খিলেল দিয়ে তৈরী ঝাঁড়ু, বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরী দোলনা, র‌্যাক, মোরা, ডালি, ঝুরি, কুলা, চালন, কাঠাসহ ঋষি পরিবারের তৈরীকৃত অন্যান্য দ্রব্যাদি দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাদৃত। প্রায় প্রতিটি বাসায় এর ব্যবহার থাকলেও গ্রামগঞ্জের বাড়ীবাড়ী এইসব সামগ্রীর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে ।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্দিড়া, বড়আখিড়া, বিনাহালী, ধনতলা, কুন্দগ্রাম, বশিকোরা, বেজার, তারাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৫ শতাধিক ঋষি পরিবার এই সামগ্রী তৈরী ও বিক্রি করে আসছে বহুদিন যাবৎ। ঋষি পরিবার ছাড়াও অনেক মুসলিম পরিবার এই পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। ঝাঁড়– ও বাঁশ বেতের সামগ্রী তৈরীতে এনে দিয়েছে এসব পরিবারের সুখ ও স্বচ্ছলতা। নেই এদের অভাব আর অনাটন।

উপজেলার সান্দিড়া ঋষিপড়ার কারিগর বৃদ্ধ পুলিন চন্দ্র ও নরান চন্দ্র জানান, তারা এ পেশায় বংশগত ভাবে প্রায় ৫০/৬০ বছর যাবত কাজ করছেন। বড়আখিড়া ঋষি কারিগর বাবলু বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, পূর্ব পুরুষদের পেশা ধরে রাখতে দীর্ঘদিন যাবত এ পেশায় রয়েছি। বাঁশের সংকট ও চড়া মূল্য হওয়াই তারা নারিকেল গাছের পাতার খিলেল, বেত ও খেজুর গাছের পাতায় ঝাঁড়– তৈরী ও বাজারজাত করে থাকেন। কিন্তু কাঁচা মালের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় ঝাঁড়– ও বাঁশ বেতের কাজে আগের মত লাভ হয়না।

বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কাঁচামাল সংকটে গ্রাহকদের চাহিদা মত মালামাল সরবরাহ করা যায় না। তৈরী ঝাঁড়–, টোপা, ডালা, চালনি ও অন্যান্য সামগ্রী ঢাকা, চট্রগ্রাম, নিলফামারী, গাইবান্দা, পাটগ্রাম, পার্বতিপুর, চিলাহাটি ডোমার, ডিমলা, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। ঋষি পরিবারের কারিগরদের দাবী সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে আরও উন্নত মানের ঝাঁড়–সহ অন্যান্য দূর্লভ সামগ্রী তৈরী করা সম্ভব।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো: হাফিজার রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.