সংবিধান কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় যে পরিবর্তন করা যায় না : গয়েশ্বর

ঢাকা প্রতিনিধি: সংবিধান দেশ ও জনগণের জন্য উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সংবিধান কোরআন-বাইবেল-গীতা বা আল্লাহ প্রদত্ত কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় যে এটা পরিবর্তন করা যায় না। সংবিধান পরিবর্তন করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭২ সালে যে সংবিধান তৈরি হলো- আপনারা তার কিছুদিন পরেই পরিবর্তন করলেন। দ্বিতীয় সংশোধন করলেন, তৃতীয় সংশোধন করলেন, চতুর্থ সংশোধনে মধ্য দিয়ে আপনারা গণতন্ত্র ব্যবস্থা বিলুপ্ত করলেন এক নেতার দেশ শাসনের ব্যবস্থা করলেন। গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করলেন, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করলেন।’
আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সব কারাবন্দীর মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদসহ জাসাসের নেতারা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকেরা বলছে- সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। কিন্তু সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ১৯৯৫-৯৬ সালেও ছিল না। তখন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে। সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযুক্ত করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। সেই নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হয় না।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আপনারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সেই সরকার নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। অবাধ সুষ্ঠু ভোটে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা সরকার গঠন করবে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.